এমনিতেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্নর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে এ ব্যাপারে আরও একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্য না জানিয়েই জল ছেড়েছে।
এদিকে বাংলায় বন্যা নিয়ে যখন রাজনীতি তুঙ্গে তখন প্রকৃতি কিন্তু বিরূপ বাংলার ওপর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তিন দিন ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর বৃষ্টি হলে ফের জল ছাড়ার পরিমাণ ডিভিসি বাড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেখানে প্রশ্ন উঠে গেছে, তাহলে ফের বাংলা ভাসতে পারে কি না তা নিয়ে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা যেমন খানকুল, আরামবাগ সহ পাঁশকুড়া, ঘাটাল ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় তা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে জল নামেনি। এ দিকে, অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় জল ছেড়েছে ডিভিসিও। ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এই সবের মধ্যে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই সাগরে তৈরি হয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। আর এই দু’য়ের জেরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার জেরে বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। বুধে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া,পশ্চিম বর্ধমানেও। শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে।