রাতদখল কর্মসূচিতে উত্তেজনা টালিগঞ্জের করুণাময়ী মোড়ে। বিক্ষোভকারীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাত জেগেছেন জনতা, বিচারের দাবিতে। বিভিন্ন জায়গায় হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তৃণমূল। তবে তাতে বিচারের দাবি থামেনি। টালিগঞ্জে করুণাময়ী তে আক্রান্তদের বক্তব্য পুলিশের অনুমতি নিয়েই প্রতিবাদ বিচারের দাবিতে এমন কর্মসূচি করেন তাঁরা। আর তখনই মহিলাদের গায়ে হাত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুষ্কৃতীরা। কাউন্সিলর এর মধ্যতেই এই হামলার অভিযোগ স্পষ্টভাবে তুলে জানান, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূরের অনুগামীরাই মহিলা বিক্ষোভকারীদের হেনস্থা, গায়ে হাত দিয়েছেন।
এক বিক্ষোভকারী খুব স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘আমি নাম ধরেই বলছি, প্রণব রায়, গোড়া রায়, এই গুন্ডারা এসে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রত্না শূর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলা সংগঠিত করিয়েছেন। বাচ্চাদের, মহিলা, বয়স্কদেরও মেরেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’ আরেক মহিলা বলেন, ‘আমাদের আর কিছু বলার নেই। পুলিশ-প্রশাসন কাউকেই কিছু বলার নেই। শুধু এইটুকুই বলতে পারি, আমাদের ভরসা চলে গেল। আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই মিছিল করছিলাম। শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক একটা মিছিলে কেন হামলা, সেটাই বুঝতে পারছি না। তারপরও দলনেত্রীরা যখন দাঁড়িয়ে থেকে মার খাওয়ায়, আর পুলিশ বলে, আমাদের কিছু করার নেই, সিভিকদের দায়িত্ব, সেখানে আর কী বলব!’
এর পাশাপাশি আরও এক মহিলা আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা তিলোত্তমার বিচার চাইতে এসেছিলাম। কেন মারপিট হবে? এখানে তো দলের ব্যাপার আসছে না। উড়ে উড়ে লাথি মারছে। প্রি প্ল্যান মারছে।’
যদিও এই হামলা সম্পর্কে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, ‘হঠাৎ আমাকে আক্রমণ করে। কালো গেঞ্জি পরা একটা মেয়ে চটি চাটা চটি চাটা বলে আমাকে আঙুল তুলে ধমকাচ্ছে। তখন বস্তির মেয়েগুলো প্রতিবাদ করেছে। এখন বলছে আমার নেতৃত্বে হামলা হচ্ছে। আমার নেতৃত্বে হলে তো আমার ১০০ লোক জড়ো করার ক্ষমতা রয়েছে। এই সব তো আমি জানিই না।’
রাতদখলের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই সুর চড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল আসলে এই আন্দোলনকে রক্তাক্ত করতে চায়, ক্ষতবিক্ষত করতে চায়।’