ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁশদ্রোণী এলাকা। ঘাতক জেসিবি ভাঙচুর করেন উত্তেজিত জনতা। এদিকে পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কিন্তু এই বিক্ষোভেও বহিরাগত হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই করে বাইরে থেকে এক দল বহিরাগত ঢুকে পড়ে। সেই বহিরাগতরা বিক্ষোভকারী স্থানীয় মহিলাদের গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ। ফলে রীতিমতো হাতাহাতিও হয়। এদিকে বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, ‘ওরা আমাদের গায়ে হাত তুলেছে। সকাল থেকে ওদের এলাকায় দেখা যায়নি। হঠাৎ করেই একদল এলাকায় ঢুকে পড়ে। আমাদেরও মারে। আমাদের প্রশ্ন ওরা কারা? পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে, কতগুলো গুন্ডা এসে আমাদের মেরে গেল।’ পাশাপাশি অপর এক মহিলা জানান, ‘পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছেন না। কিন্তু পুলিশ আমাদেরই গায়ে হাত তুলছে। ওঁরা কোন থানার আমরা জানি না। ওঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে কেন? একজন মহিলাকেও মেরেছেন। আমরা ওই অফিসারের সাসপেনশন চাই, যদি তিনি পুলিশ হন।’
এদিকে এই ঘটনায় ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার বলেন, ‘ড্রেনেজের কাজ হচ্ছে। বড় প্রজেক্টের কাজ। সেটা তো সময় লাগে। আমরা কি জানি এরকম ঘটনা ঘটবে? এত বড় বড় কাজ হয়েছে আগে, এরকম তো ঘটেনি। দায় বলতে কী? এখানে দায় কীসের? আমরা ওর পরিবারের পাশে রয়েছি।’
এই ঘটনায় মুখ খোলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। কলকাতা পুরসভার মেয়র জানান, ‘ওখানে ড্রেনেজের কাজ হচ্ছিল। আমরা আছি ওর পরিবারের পাশে। কনডাক্টরকে ডাকা হয়েছে। দেখা হবে কী গাফিলতি? সেই অনুযায়ী কেস হবে। নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে।’
ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পাটুলি থানার ওসি। এক কনস্টেবলকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে। বাঁশদ্রোণীর ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিসি বিদিশা কলিতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, জেসিবির চালক পলাতক। দুটো মোবাইল নম্বর দিয়ে সন্ধান করা হচ্ছে। তবে কারা জেবিসি ভাঙলো? কারা পুলিশকে আটকালো তাও দেখা হচ্ছে। বহিরাগত কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা কোন অভিযোগ করেনি।