শুরু হল উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কাউন্সেলিং

হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু হল এসএসসি অফিসে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এসএসসির মূল অফিস আচার্য সদনে শুরু হয় এই কাউন্সেলিং। এদিন কাউন্সেলিং ছিল বিজ্ঞান বিভাগের। এসএসসি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মোট ১৪৪ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয় এই  কাউন্সেলিংয়ের জন্য। ৪ অক্টোবর ইতিহাস, নেপালি ও ভূগোলের কাউন্সেলিং হবে। পুজোর আগের দু’দফার কাউন্সেলিং হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগেই জানিয়েছিল এসএসসি। পুজোর ছুটির পর অর্থাৎ ২৪, ২৫, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর হবে যথাক্রমে হিন্দি, ঊর্দু, আরবিক, ইংরেজি, বাংলা ও বায়ো সায়েন্সের কাউন্সেলিং।

কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৮ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হলে এসএসসিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের কাউন্সেলিং করতে হত। কিন্তু পুজোর আগে দু’টি দিন মাত্র ৫০০ চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং করছে এসএসসি। আর দুর্গা পুজোর পর বাকি তিন দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে।

তবে এর আগে ২ বার ইন্টারভিউ হলেও চাকরি হয়নি। সেক্ষেত্রেও দায় বর্তেছিল এসএসসি-র ঘাড়েই। তাই এদিনও কাউন্সেলিংয়ে এসে আশঙ্কায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা, আর সে আতঙ্ক তাঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট।

এই নিয়োগের সূত্র ধরতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ খানিকটা বছর পিছনে। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি বের হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যখন মেধাতালিকা বার করা হয়, তাতে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম ছিল।  ২০২১ সালে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, ওএমআর শিটগুলি পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া ১৪৬৩ জন অন্য একাধিক মামলায় যুক্ত হন।

দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলছিল। প্রায় আট বছর ধরে চলতে থাকে জটিলতা। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ৩ বার,  ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর  সিঙ্গুরের সভা থেকে, ২০২১ সালের ২১ জুন নবান্নের সভাঘর থেকে, ২০২৩ সালে ৩০ মে নবান্নের সভাঘর চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আট বছর পর গত অগাস্ট মাসে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জটিলতা কাটে। অবিলম্বে ১৪ হাজার ৫২ জনকে সুপারিশপত্র দিতে হবে বলে রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।কমিশন ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে ১৪৩৩৯।  ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মেধাতালিকা থেকে বাদ ১ হাজার ৪৬৩ জনকেও যুক্ত করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − two =