কৃষ্ণনগরে নির্যাতন-খুন কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত রাহুল সক্রিয় অংশ নেয় রাত দখল কর্মসূচিতে

কৃষ্ণনগরে নির্যাতন-খুন কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত রাহুল বসু আরজি কর নিয়ে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলনে এসে সে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগই চায়নি, তাঁর মৃত্যুকামনাও করেছিল, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।

একজন মহিলার ওপর অপরাধের জন্য ধৃত রাহুল বসুর মতো ব্যক্তিদের ভণ্ডামিকে নিন্দা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি শাখার রাজ্য ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ‘কৃষ্ণনগর নির্যাতন-খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত রাহুল বসুর কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে স্পষ্ট যে, সে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল, ‘আমরা বিচার চাই’ স্লোগান দিচ্ছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখলাম, সে নিজে একটি নির্যাতন-খুনের ঘটনায় জড়িত।’

একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ’আপনি যদি তার ফেসবুক প্রোফাইলটি খোলেন, তাহলে আরজি করের নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে অসংখ্য পোস্ট দেখতে পাবেন৷ দুঃখের বিষয় এটাই যে, একজন যে ন্যায়বিচার চেয়েছিল, সে-ই এখন কৃষ্ণনগরে নির্যাতন-খুন কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত। এটা দেখায় কীভাবে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানের আড়ালে এই ধরনের অসৎ লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

পাশাপাশি এও জানান, আরজি কর ধর্ষণ-হত্যা মামলাকে ঘিরে এই আন্দোলনের পিছনে কিছু ‘পলিটিক্যাল এলিমেন্ট’ লুকিয়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছেন যে, “এই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ভিড়ের মধ্যে বেশ কিছু পলিটিক্যাল এলিমেন্ট লুকিয়ে আছে। যাদের মধ্যে একজন সিপিআই (এম)। যারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়েছিলেন তারা কেউই সাধারণ জনগণ নন। হয় তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে আর নয়তো তাদের রাহুল বসুর মতো অপকর্মের মানসিকতা রয়েছে। ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখলে’ সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু যখন তারা বুঝতে পেরেছেন যে, এই আন্দোলন রাজনৈতিক দলের দখলে চলে গিয়েছে, তখনই তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছেন।

এমনকি এটাও সামনে এসেছে যে, ২০০০ সালের এসএফআই-এর সক্রিয় নেতা ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীকে ২০০১ সালের অগাস্ট মাস আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিত্র বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, অভিযোগ শাসক দলের। কলেজের হোস্টেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স- হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − eight =