অন্ধ্রের নজরকাড়া রন্ধনশৈলীর অভিজ্ঞতা নিতে ১৮-২৭ অক্টোবর আসতেই হবে ভিভান্তায়

Featured Video Play Icon

কলকাতার ইএম বাইপাসের পাশে অবস্থিত ভিভান্তা ব্যবসা এবং অবসর ভ্রমণকারীদের জন্য পরিকল্পিত এক নজর কাড়া হোটেল। এবার তারা তাঁদের সারাদিনের ডাইনিং রেস্তোরাঁ, মিন্টে অন্ধ্রপ্রদেশের খাঁটি খাবার আনতে আগ্রহী। আর সেই কারণেই এই হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অন্ধ্র ফুড ফেস্টিভাল। যা চলবে ১৮ থেকে ২৭  অক্টোবর পর্যন্ত। আর এই ফেস্টিভ্যালে লাঞ্চ এবং ডিনারে মিলবে অন্ধ্রের নানা ধরনের খাবার।

আমাদের দেশ ভারতবর্ষে যেমন নানা ধরনের সংস্কৃতি রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের রন্ধনশৈলীও। এই তালিকায় অবশ্যাই থাকবে অন্ধ্রের নামও। নানা স্বাদের খাবার মেলে অন্ধ্রের এই রান্নায়। মশালাদার স্পাইসি খাবার, সামুদ্রিক মাছের নানা পদ যে কোনও কারও জিভে জল আনার জন্য যথেষ্ট। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে অন্ধ্র একটি উপকূলীয় অঞ্চল। ফলে সুস্বাদু সামুদ্রিক খাবার অন্ধ্রের চিরাচরিত বৈশিষ্টের মধ্যে পড়ে। এই ডিশগুলি শুধু যে আমিষ তা নয়, মিলবে নিরামিষ নানা পদও। এখানে বলে রাখা ভাল, অন্ধ্রের এই খাবরে প্রভাব ফেলে ২৬টি জেলার রন্ধনের নানা  ঐতিহ্যও। যার মধ্যে রয়েছে নেল্লোর, গুন্টুর, গোদাবরী, কাডাপা, রয়্যালসীমা এবং কোনাসিমার মতো বিভিন্ন জেলা। যারা বিখ্যাত তাদের নানা ধরনের সুস্বাদু রন্ধনশৈলীর কারণেই। এদের সবার রন্ধন বৈশিষ্ট্যের এবারে স্বাদ মিলবে এই ভিভান্তাতে।

এই প্রসঙ্গে শেফ সূর্যনারায়ণ তাঁর রন্ধন দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন  প্রতিটি পদে। আর যা প্রতিফলিত হয়েছে অন্ধ্রের রান্নার প্রাচীন সব পদ্ধতির কথা মাথায় রেখে এবং স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করে। এই ভাবেই তিনি মন জয় করতে চান কলকাতাবাসীর।

যে সব ডিশ নজর কাড়বে এই ফুড ফেস্টিভ্যালে তা হল ইডলি, ওয়াদা, গোধুমা রাওয়া উপমা, সাম্বার, পোঙ্গল, গুত্তি ভাঙ্কাই কুরা, পাচ্চি পুলুসু, রাগি মুদ্দা, ডোন্ডাকাই ভেপুডু, রসম, গঙ্গুরা মামসাম, নেল্লোর চাপালা পুলুসু, নাট্টু কোডি পুলুসু, গুন্টুর চিলি প্রনস, চিত্তুর সুখা মামসাম, বোমডায়ালু পুলুসু-এর মতো সুস্বাদু খাবার। এই ডিশগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের রান্নার শৈলী।

এই উপলক্ষে মন্তব্য করে শেফ সূর্যনারায়ণ জানান, ‘অন্ধ্রের রন্ধনশৈলী  মশলা এবং নানা সমৃদ্ধ স্বাদের একটি সুরেলা মিশ্রণ। যা এটিকে সত্যিই অনন্য করে তোলে। আর এই অনন্য বৈশিষ্ট্যেই মানুষের স্বাদকে এক ভিন্ন মাত্রা দান করে। অন্ধ্রের ঐতিহ্যশালী রান্না সম্পর্কে কলকাতার মানুষ দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি হয়েছে এই ভিভান্তাতে।’

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + two =