বঙ্গের ছয কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের আগে শহরে এসেছেন অমিত শাহ। শাহের এই বঙ্গ সফর ঘিরে অবশ্যই যে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে পদ্ম শিবির তাতে সন্দেহ নেই। ফলে এই উপ নির্বাচন ঘিরে তাঁরা এখন নতুন ভূমিকায় উজ্জীবিত। এরইমধ্যে ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে ফের একবার মুখ খুলতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। রবিবার বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, চিকিৎসকদের আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে। কিছু বাম এবং অতি বাম এদের আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে। বলেন, নবান্ন অভিযানে না গিয়ে ভুল করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
একইসঙ্গে একহাত নেন তৃণমূলকেও। বলেন, ‘চিকিৎসকদের আলাদা ফ্রন্ট তৈরি করেছে তৃণমূল। ডাক্তাদের আন্দোলনে চাপে ছিল সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের শুরুটা ভালো। ফিনিশিংটা ভালো নয়। তবে বিজেপি ছাড়বে না। দীপাবলির পর শুরু হবে।’ তবে এদিন তাঁর কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসে বাম–অতিবামদের প্রসঙ্গ। খানিক আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে সমগ্র মানুষের আন্দোলন থেকে তার বিচ্যুতি ঘটেছে। বাম এবং অতি বাম এই আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ৯ অগস্ট তিলোত্তমা কাণ্ডের পর থেকেই পথে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। চলেছে মিছিল, হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ, অনশনেও বসেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে দফায় দফায় কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী–চিকিৎসক সাক্ষাৎ নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের সব ভাল লেগেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ আমার এবং মানুষের ভাল লাগেনি। অন্যভাবেও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না এবং তা থেকে অশ্বডিম্ব হয় তা ফের প্রমাণিত।’