উপনির্বাচনের আগে নজিরবিহীন ঘটনা বাংলার ভোটের প্রচারে। শাসকদলের হয়ে সরাসরি পথে নামল বাংলার তিন প্রধান। তৃণমূলের হয়ে প্রচারে সামিল মহামেডান, ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান কর্তারা। নৈহাটি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে–র প্রশংসায় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান কর্তারা। ফুটবল সংগঠক সনৎ দে–র প্রশংসায় বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ–ও। এই। ইস্যুতেই উপনির্বাচনের আগে নতুন করে চাপানউতোর শুরু বঙ্গ রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার সুর চড়িয়েছেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। আন্দোলনে রব উঠেছে, ‘ঘটি বাঙাল এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’ সোশ্যালমিডিয়াতেওদেখাগিয়েছেফুটবলপ্রেমীদেরপ্রতিবাদেরঢেউ।স্লোগানচলেছেগ্যালারিতেও।তবেএইঘটনাররেশবজায়থাকতেথাকতেই
তিন প্রধানের প্রধানরা শাসকদলের হয়ে ব্যাট ধরায় প্রশ্ন উঠেছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কারণ, এই তিন প্রধানের কর্তাদের শাসকদলের হয়ে ভোট প্রচারে নামে তিন প্রধানের সাপোর্টাররা কীভাবে দেখেন এখন সেটাই দেখার। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে ক্রীড়া বিশ্লেষকদের বড় অংশের মতে, অনেক ক্রীড়াবিদই এর আগে রাজনীতি পাড়ায় নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু, এ একযোগে তিন প্রধান থেকে শুরু করে আইএফএ তাঁদের হয়ে একযোগে শেষ কবে গলা ফাটিয়েছে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধানের সমর্থকেরা।
এদিকে সনৎ দে–র প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁর কথায়, ‘সব ক্ষেত্রেই সনৎ একজন দক্ষ সংগঠক। আমরা যখন যেভাবে ওর কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছি তা পেয়েছি। প্রাকটিস থেকে ম্যাচ, সবক্ষেত্রেই সাহায্য পেয়েছি।’ অন্যদিকে মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্তের কথায়, ‘নৈহাটিতে যতবারই মোহনবাগন খেলতে গিয়েছে ততবারই প্রচুর সাহায্য পেয়েছি। উনি একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকও বটে। যেভাবে উনি নৈহাটি স্টেডিয়ামকে দেখভাল করেন তা রীতিমতো দেখবার।’ একই সুর আইএফএ–র সচিব অনির্বান দত্তের গলাতেও। অনির্বানের বক্তব্য, ‘উনি একজন দুর্দান্ত কাজের মানুষ। ওনার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’ প্রায় একই সুর মহামেডান কর্তা মবম্মদ কামারুদ্দিনের গলাতেও। কামারুদ্দিন জানান, ‘সনৎ দে নিজেই সব ব্যবস্থা করে নিতে পারে। যতবার সাহায্য চেয়েছি ততবারই পেয়েছি।’