আনিসুর রহমান যেদিন প্যারোল চেয়েছিলেন সেদিনই তা মিলে গিয়েছিল। খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানের আবেদন নিয়ে এমন তৎপরতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে। আর এখানেই প্রশ্ন ওঠে, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট বারবার যাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করেছে, সেই আনিসুর রহমান কীভাবে এত দ্রুত প্যারোল পেয়ে গেলেন তা নিয়েও। এবার সেই মামলাতেই আনিসুরকে দ্রুত জেলে ফেরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। পাঁশকুড়ায় তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ খুনের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় আনিসুর রহমানকে। শুধুমাত্র প্যারোল খারিজ-ই নয়, এরই পাশাপাশি সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়েও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্ট থেকে। স্পষ্ট জানানো হয়, শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলার সাক্ষীদের ট্রায়াল শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি, সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছিল, সেটাও অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, কুরবান শাহ খুন ছাড়াও একাধিক মামলা ছিল এই আনিসুরের বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল পাঁচবার। বছর দুয়েক আগে রাজ্যের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, সরকার আনিসুরের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা তুলে নিতে চায়। সেই বিজ্ঞপ্তি মেনে আনিসুরকে মুক্ত করে দেয় তমলুক আদালত। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা হলে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। সেই আনিসুরকেই ৪ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গেই আই জি কারা কী ভাবে দ্রুত অনুমতি দিলেন, সেই প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি। আর এই আবেদন একটু বেশিই তাড়াতাড়ি গৃহীত হয়েছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। এরপর এ বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর শুক্রবার আনিসুরের প্যারোল বাতিল করে হাইকোর্ট।