কালীপুজোর ঠিক আগে শহরে ফিরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে অনুরাগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, কেক কাটার পর কালীঘাটের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, দীর্ঘবিরতিতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কাজ তিনি সেরে গিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম এই জেলা সংগঠনে রদবদল।বৃহস্পতিবার অভিষেক এও জানান, বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি সেই খসড়া করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে গিয়েছেন। বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
পাশাপাশি অভিষেক এও জানান, আপাতত কলকাতা ছাড়া বাংলা জুড়ে ১২৫ টি পুর এলাকায় রদবদল হবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে জেলা সভাপতি পদেও বদল হবে। তার সম্ভাব্য তালিকাও দেওয়া আছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। তবে সবটাই সুপারিশ। সংগঠনে বদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এদিন অভিষেক আরও বলেন, বীরভূমে কোর কমিটির নেতৃত্বে ২০২৪–এর ভোটে সেখানে ভালো ফলাফল হয়েছে। দুই সাংসদের লিড বেড়েছে। তাই কোর কমিটি থাকা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে এটাও বলতেই হয়, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের ফল ছিল নজরকাড়া। বিয়াল্লিশের মধ্যে ২৯ টি আসনই এসেছে তৃণমূলের দখলে। বিজেপি আটকে গিয়েছে বারোয়। তবে এমন ফলাফলে আত্মতুষ্টি নয়, বরং আরও সতর্ক হয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে খোল-নলচে বদলে ফেলার নীল নকশা করেও ফেলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই এই কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনমাসের মধ্যে জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হবে। বলা মাত্রই কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও এদিন আর জি কর ইস্যুতে সিপিএমকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অভিষেক। আরজি কর প্রসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যে ভূমিকা পালন করেছে বামেরা, তাতে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে তাদের ফলাফল আরও খারাপ হবে।’