খাস কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বৈঠকখানা বাজার থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয মহম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যক্তিকে।
লালবাজার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের উলটোদিকে অত্যন্ত ব্যস্ততম বৈঠকখানা রোডে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র–সহ ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। এই ঘটনায় মহম্মদ ইসমাইল নামে যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও থাকত শিয়ালদহের রাজাবাজারে। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত ইসমাইল আসলে একজন ক্রেতা। কলকাতায় এই অস্ত্র আনা হয়েছিল বিহারের মুঙ্গের থেকে। আগাম চুক্তি অনুযায়ী বৈঠকখানা রোডে ইসমাইলের সঙ্গে অস্ত্রের লেনদেন করে। তবে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হলেও অস্ত্র বিক্রেতা পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, অভিযুক্ত এখনও কলকাতা চত্বরেই রয়েছে। কোনওভাবে যাতে সে ট্রেন বা বাসে পালাতে না পারে সেই লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে হাওড়া ও বাবুঘাটে।
এদিকে অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছ থেকে যে সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি হল, ২টি ৭ এমএম পিস্তল, ৩টি সিঙ্গল শটার ও ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। অস্ত্রগুলি মুঙ্গেরের বলেই অনুমান করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ইসমাইলের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলেও এইব্য ক্তি আসলে একজন মিডিলম্যান।অস্ত্রগুলি নিয়ে নিজের ডেরায় যাওয়ার কথা ছিল তার।সেখান থেকে এই সব অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ত রাজ্যের নানা প্রান্তে।গোটা চক্রের খোঁজ পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ইসমাইলকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কারা কারা যুক্ত রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে।এদিকে খাস কলকাতায় এভাবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে।