শীতের মরশুমে দর্শকদের জন্য থাকছে নয়া চমক। চিড়িয়াখানায় গিয়ে এবার খাঁচার ভিতর ঢুকতে পারবেন দর্শকেরা। এবার এমন সুযোগই করে দিতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তবে বাঘ বা সিংহের খাঁচায় নয়, পাখির খাঁচায় ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।সেজন্য চিড়িয়াখানায় করা হয়েছে বিশালাকার একটি খাঁচা। যেখানে হরেক প্রজাতির পাখি থাকবে। খাঁচায় ঢুকে তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন দর্শকরা। উল্লেখ্য, ভিন রাজ্যে এরকম অনেক চিড়িয়াখানা রয়েছে যেখানে পশুপাখিদের খাঁচায় প্রবেশের অনুমতি রয়েছে দর্শকদের।কিন্তু এ রাজ্যে এমন কোনও ব্যবস্থা আগে ছিল না।এই প্রথম আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শকদের খাঁচায় প্রবেশের ছাড়পত্র দিচ্ছে।বিশালাকার কাচে মোড়া সেই খাঁচা।সেখানে দর্শকদের হেঁটে ঘোরার জন্য থাকছে ওয়াকিং ওয়ে। প্রায় ১২ প্রজাতির পাখি থাকছে।জলজ পাখিও রাখা হচ্ছে।সেজন্য খাঁচার মধ্যে থাকবে জলাশয়।আলিপুর চিড়িয়াখানার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে দর্শকদের এই উপহার দিতে চলেছে।চলতি মাসেই দর্শকদের জন্য এই খাঁচা খুলে দেওয়া হবে বলে আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর।
এর পাশাপাশি শীতের মরশুমে আলিপুরে আসছে নয়া অতিথি। শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি থেকে আসছে একটি চিতা–বিড়াল (লেপার্ড ক্যাট)। এই প্রথম আলিপুরে আসছে চিতা–বিড়াল। আগামী দু–একদিনের মধ্যে তাকে নিতে আলিপুর থেকে প্রতিনিধিরা উত্তরবঙ্গে রওনা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত এও জানান, আলিপুর চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। দেড়শো বছর পূর্তিতে প্রবেশ পথে নতুন ফটক উদ্বোধন করা হয়েছে। এবার দর্শকদের জন্য খাঁচায় প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পাখিদের একটি নতুন খাঁচা তৈরি হয়েছে। সেখানে দর্শকরা প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদের ছুঁতে পারবেন না। কাচে মোড়া সেই খাঁচার ভিতরে পাখিদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন দর্শকরা। সেখানে চাইলে বসে একটু বিশ্রাম করে নিতে পারবেন। সেজন্য খাঁচার ভিতরে চেয়ার রাখা হয়েছে।
এদিকে আলিপুর পশুশালার কর্তারা এও জানান, বছর কয়েক ধরে সবুজ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে আসার কথা চলছে। মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে তাকে নিয়ে আসার কথা। পাশাপাশি ভিন দেশেও তার খোঁজ চালায় কর্তৃপক্ষ। এই মরশুমে হয়তো তা হাতে পেতে পারে কর্তৃপক্ষ। কারণ ইতিমধ্যে আলিপুরে তার ঘর গোছানো হয়ে গিয়েছে। তবে তাকে হাতে পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।