আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল বিরোধী শিবির। কারণ, আসন্ন উপনির্বাচনে সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য, ভোটের দুদিন আগে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন মনে করলে সেই পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে বিরোধীদের দায়ের করা মামলায় আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।
প্রসঙ্গত, সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় সম্পর্কে কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী। এই কেন্দ্রের বিধায়ক আগে ছিলেন জগদীশই। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তিনি কোচবিহার থেকে জিতে সাংসদ হওয়ায় এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং সেখানকার প্রার্থী তাঁরই স্ত্রী। সঙ্গীতাদেবীও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বৃত্তে রয়েছেন। বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ, সঙ্গীতা নির্বাচনী হলফনামায় যে জাতিগত শংসাপত্র পেশ করেছেন, তা সঠিক নয়। তথ্যগত ভুল রয়েছে তাতে। এনিয়ে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম–কংগ্রেস। কিন্তু তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায় সিপিএমের তরুণ নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনী হলফনামায় তফসিলি জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়েছেন সঙ্গীতা রায়।যদিও সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, আদালত এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচনী হলফনামা সংক্রান্ত তথ্য স্ক্রুটিনির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ফলে ১৩ তারিখ সিতাই উপনির্বাচনে তাঁর লড়াইয়ের পথে আর কোনও বাধা রইল না। এই কেন্দ্র তৃণমূলের দখলেই ছিল। সঙ্গীতা সেই গড় রক্ষা করতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার।