রাজ্যে বাংলা মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম দিনের কাউন্সেলিংয়ে গরহাজির থাকলেন ১৪১ জন। আবার কাউন্সেলিংয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) অফিসে এসেও বাড়ি থেকে দূরে এবং পছন্দমতো স্কুল না–হওয়ায় তিন জন চাকরির সুপারিশপত্রই নেননি।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জনান, সোমবার বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে মোট ৭০৭ জনকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৪১ জন অনুপস্থিত ছিলেন। তিন জন সুপারিশপত্র গ্রহণ করেননি। উপ–নির্বাচনের জন্য আজ মঙ্গল ও কাল, বুধবার কাউন্সেলিং হবে না। ১৪ তারিখ পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ে ৭০৭ জনকে ডাকা হয়। তবে এদিন ২০ শতাংশর কিছু বেশি চাকরিপ্রার্থী ৪২,৩৮৪টাকার বেতনের চাকরি নিলেন না।
এদিকে সূত্রে খবর, ১১ থেকে ২৭ নভেম্বর ৮,০৯১ জনের কাউন্সেলিং হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাংলা ভাষার এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘কাউন্সেলিংয়ে হাজির হলেও আমি বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুল পাইনি। যেতে হতো ফ্রেজারগঞ্জ বা নামখানায়। রোজকার যাতায়াতের পক্ষে বেশ কঠিন।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রাথমিকে শিক্ষকতা করি। তাই সিট ব্লক করতে চাইনি। তা ছাড়া সার্ভিস কন্টিনিউয়েশনও হবে না।’ ওই চাকরিপ্রার্থীর আরও বক্তব্য, মহিলাদের জন্য অন্তত বাড়ির কাছাকাছি বা যাতায়াতের সুবিধে রয়েছে এমন স্কুল বাছাইয়ের অপশন দিলে ভালো হতো। যদিও এ প্রসঙ্গে কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিষয়বিত্তিক সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ব়্যাঙ্ক, ক্যাটিগরি ও জাতিগত সংরক্ষণের ভিত্তিতে স্কুল বাছাইয়ের অপশন দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা সেইমতো স্কুল বাছাইয়ের সুযোগ পাবেন।’