রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অন্দরে ভিন্ন ভিন্ন সুর। এমন প্রশ্ন উঠেছে আগেও। নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে এলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সবটা সামলেছে সুকৌশলেই। তবে এবার সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে নেতাদের। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে দল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৃথক পৃথক অনুগামী। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের কথায় যেভাবে ফিরহাদ হাকিম প্রতিক্রিয়া দিলেন, তাতে জল্পনা বেড়েছে আরও।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। আচমকা ফুলটাইম পুলিশমন্ত্রীর কথা বলেন হুমায়ুন কবির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ফুলটাইমের একজন পুলিশমন্ত্রী থাকলে, আমার মনে হয়, তাঁর নজর এড়িয়ে কোনও অপরাধ সংগঠিত হবে না।’ বিধায়কের এই কথায় বিতর্কের গন্ধ পান অনেকেই। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি পুলিশমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না তিনি।
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মমতাকে সরিয়ে রেখে এখনও কারও নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, ‘যারা এত কথা বলছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিক থেকে বলিষ্ঠ নেত্রী। তিনি এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।’
অভিষেককে নিয়ে প্রশ্ন করাতে ফিরহাদ বলেন, ‘অভিষেক আমাদের সন্তান। ওর কথা যখন হবে তখন দেখা যাবে। কিন্তু এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বলিষ্ঠ কেউ নন।’ বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। তবে মাৎস্যন্যয় শুরু হয়েছে। কোম্পানিতে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়ার সময় এই সব হয়ে থাকে।’