পুলিশ প্রশাসনে বড় রদবদল

কয়েকদিন আগেই কসবা-কাণ্ডের জেরে শাসক মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। আর তারই জেরে সম্ভবত বড় রদবদল কলকাতা পুলিশে। কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানো হল মুরলীধর শর্মাকে। প্রবীণ কুমারকে কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের পদ দেওয়া হল। অন্যদিকে, মুরলীধর শর্মাকে পাঠানো হল ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে।  শুধুমাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারই নয়, মুরলীধর শর্মা ছিলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধানও। একজন দক্ষ গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন মুরলীধর শর্মা। এছাড়া, স্বাতী ভাঙালিযাকে হাওড়ার রুরাল এসপি থেকে এসপি সাইবার পদে আনা হয়েছে। সুবিমল পাল ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল হাওড়া। তাঁকে হাওড়া রুরালের পুলিশ সুপার পদ দেওয়া হয়েছে।

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি মেনে সরানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কসবায় কলকাতা পুরনিগমের অন্যতম কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা হয়। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও এই প্রশ্ন তুলেছেন। কোথা থেকে অস্ত্র আসছে কলকাতা শহরে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিধায়ক মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইনটেলিজেন্সে খামতি আছে বলে অভিযোগ করেন। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশের এই রদবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × four =