থানা চত্বর থেকে আস্ত একটা গাড়ি চুরি। আর এই ঘটনায় তাজ্জব বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনার রিপোর্ট দেখে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এই এফআইআর আদতে আই ওয়াশ। পুলিশ নিজেকে বাঁচাতে ওই এফআইআর করে রেখেছে।’
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে আনে বাগুইআটি থানার পুলিশ। থানার ক্যাম্পাসেই গাড়িটি রাখা ছিল। এরপর চুরি যাযসেই গাড়ি চুরি যায়। গাড়ি চুরির কথা জানার পর ২০২২ সালে পুলিশ নিজেই থানায় এফআইআর দায়ের করে। সেই মামলা হাইকোর্টে এলে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘ গোটা কমিশনারেটটাই একেবারে গিয়েছে। থানা থেকে গাড়ি উধাও হয়ে যাওয়ার এমন ঘটনা তো নর্থ বেঙ্গলে হয়। সেটা কি না এবার বাগুইআটিতেও?’
এরপর বিধান নগর পুলিশ কমিশনারকে বিচারপতির নির্দেশ, যেহেতু তিনি কমিশনারেটের প্রধান, তাই তিনি নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। থানার ভিতর থেকে কী করে গাড়ি চুরি হয়ে যায় সেই ব্যাপারে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল,তাই নিয়ে সিপিকে রিপোর্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে ওই থানায় এখনও পর্যন্ত যতজন আইসি ও যতজন আইও দায়িত্বে ছিলেন, সকলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে সিপিকে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দেবেন পুলিশ কমিশনার।