নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক জামিন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার জেল থেকে বের হচ্ছেন কুন্তল ঘোষ। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় তিনি ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা। দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসার পর দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। কলকাতা হাইকোর্টে ইডি–র মামলা থেকে আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। আর এবার শীর্ষ আদালতে সিবিআই–এর মামলাতেও জামিন পেলেন কুন্তল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট শর্ত সাপেক্ষ মুক্তি দিয়েছে কুন্তল ঘোষকে। জামিন চেয়ে একাধিক বার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এই যুব তৃণমূল নেতা কিন্তু প্রতিবার জামিনেই আবেদন বাতিল করে দেয় উচ্চ আদালত। দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকা সত্ত্বেও ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না, এই যুক্তিকে হাতিয়ার করে ফের জামিনের জন্য আপিল করা হয় বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি উজ্বল ভুঁইয়ার এজলাসে। আদালত সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে জেলে থাকা সত্ত্বেও কেন ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না, এই যুক্তিকে আরও একবার হাতিয়ার করা হয় জামিন মামলায়। কুন্তলের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, তদন্ত কবে শেষ হবে, তারকোনওনির্দিষ্টরূপরেখাওপাওয়াযাচ্ছেনা।এরপরই সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে জামিনের নির্দেশ দেয় কুন্তল ঘোষকে। তবে জামিনের শর্ত কী হবে তা ঠিক করবে ট্রায়াল কোর্ট। ইডি–র মামলায় জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সব শর্ত আরোপিত করা হয়েছে, সেগুলি কার্যকর থাকছে। ইডি–র মামলার ক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে পারবেন না কুন্তল ঘোষ।
২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই কুন্তল ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন অনেকে। প্রথমে মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা জামিন পান। আর সম্প্রতি জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। এই যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপাতত সেই মামলা ঝুলে আছে। তবে, আদালত বারবার প্রশ্ন তুলেছে, ট্রায়াল শুরু না হলে আর কতদিন জেলে রাখা সম্ভব!