ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ও রাজ্য জুড়ে ট্যাব দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল এসএফআই। এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করতে চলেছেন তাঁরা। এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটি মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর বেথুন কলেজের সামনে থেকে মিছিল করে কলেজ স্ট্রিট কলকাতা বিশ্বাবিদ্যালয় যাবে।
এদিকে এসএফআই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি সোদপুর ট্রাফিক মোড়কে সরকারি ভাবে ‘তিলোত্তমা মোড়’ ঘোষণা করার দাবি রেখেছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর পানিহাটি থেকে মিছিল শুরে করে ১৭ ডিসেম্বর বারাসাতের ডিএম অফিস যাবে তারা। এই মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাস্টিস মার্চ’।
এই প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের তরফ থেকে এদিন এও জানানো হয়, ‘ভয় মুক্ত ক্যাম্পাস’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নভেম্বর মাসের শেষ দুই সপ্তাহে বিশেষ সদস্য পদ অভিযানের ডাক দিয়েছিলো এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। এই সময় কালে প্রায় ৪২ হাজার ছাত্রছাত্রী ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হয়েছে। আগামী দুই মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে নির্দিষ্ট দাবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই, কথা বলার স্বাধীনতা চাই, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে ভিতরে প্রচার অভিযান চালাবে।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘আগামী দুমাসে আন্দোলন সংগঠিত করে রাজ্যের ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছে যেতে হবে।’
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এসএফআই নেতৃত্ব কলেজে কলেজে কী ভাবে ছাত্র সংসদের টাকা নিয়ে বেলাগাম ভাবে দুর্নীতি করা হচ্ছে তা সামনে আনেন। সম্পতি মৌলানা আজাদ কলেজে ছাত্র সংসদ দখল করে রেখেছে কিছু বহিরাগতরা। অভিযোগ যাঁরা ছাত্র সংসদের মাথায় বসে আছে তাঁরা কেউ বর্তমানে ছাত্র নয়। ৫ বছর আগে তাঁরা পাস করে গেছে। নির্বাচিত নয় এমন প্রতিনিধিরা কী ভাবে ছাত্র সংসদের টাকা ব্যবহার করতে পারে। দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘যে ছাত্র সংসদের কোনও বৈধতা নেই সেই ছাত্র সংসদ কি করে এই ভাবে কাজ করতে পারে। হোয়াটসআপ গ্রুপ করে টাকা তোলা হচ্ছে। উত্তর কলকাতা সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এসে বয়েজ কমন রুম, স্টুডেন্স ইউনিয়ন রুম উদ্বোধন করছেন।’ আর এখানেই এসএফআইয়ের প্রশ্ন, এটা কিসের ভিত্তিতে হচ্ছে তা নিয়েও। সঙ্গে তাঁরা এটাও দাবি করেন, এ এক নতুন ধরণের দুর্নীতি।