আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ফের জেল হেফাজতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। সোমবার দুই অভিযুক্তের ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
আদালতে জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে এদিন সিবিআই আইনজীবী দাবি করেন, এঁদের এখন জামিন দেওয়ার কোনও ভিত্তিই নেই। পাশাপাশি জামিন দিল তথ্যপ্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা থেকে যায়। এরই পাল্টা সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, তদন্তকারীরা বারবার বলছেন তথ্যপ্রমাণ নষ্টের কথা। কিন্তু এতদিন কোথায় কোন তথ্য আদতে নষ্ট করা হয়েছে তার জবাব কারও কাছে নেই। সিএফএসএল রিপোর্টে কী উল্লেখ করা হয়েছে তাও স্পষ্টভাবে সামনে আনা হচ্ছে না। রিপোর্টে আদৌ তথ্যপ্রমাণ নষ্টের কথা বলা হয়েছে কিনা সেটাও পরিস্কার নয় বলে মন্তব্য তাঁর। সঙ্গে এও জানান, ডিভিআর থেকে তথ্য মুছে ফেললে তো তা আবার উদ্ধারও করা যায়। এরই প্রেক্ষিতে সিবিআই আইনজীবী জানান, পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। এখন জামিন দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
অপরদিকে, অভিজিতের আইনজীবী কোর্টকে বলেন, সিবিআই বলছে অভিজিৎ পালাতে পারেন, কিন্তু উনি সরকারি কর্মচারি। পালাবার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই আইনজীবী প্রশ্ন করেন, সরকারি কর্মচারি পালাতে পারেন না এমন কোনও কথা নেই।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট পাঁচ জনের নাম ছিল তাতে। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সূত্র ধরেই সামনে আসে হাসপাতালের দুর্নীতি। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনারও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুধু তাই নয় সিবিআইয়ের আরও দাবি ছিল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, মোবাইল, মেমরি কার্ড-সহ অন্তত ১৮টি ডিজিটাল ডিভাইসের ‘ক্লোনিং’ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ওই যন্ত্রগুলিতে থাকা নথি থেকে তদন্তে সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।