• কলকাতা সহ ১৩টি জেলায় বিশেষ উদ্যোগ ‘বীমারথ’ আয়োজন করেছে
• জীবন বিমা সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে শাখাগুলোতে মাসিক বীমা দিবস পালন করছে
• সামাজিক মাধ্যম প্রচারাভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে ,( এনগেজমেন্ট রেট সহ প্রায় ১১%)
টাটা এআইএ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোং লিমিটেড (টাটা এআইএ), পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রধান বিমা প্রদানকারী হিসাবে রাজ্যে বিমার প্রসার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আইআরডিএআই-এর ‘২০৪৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিমা’ দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে, টাটা এআইএ রাজ্যজুড়ে একাধিক উদ্যোগ চালু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচারাভিযান ‘বিমারথ’। একইসঙ্গে শাখাগুলোতে আয়োজিত গ্রাহক সংযোগ কর্মসূচি ‘মাসিক বিমা দিবস’, এবং স্থানীয় থিম ও ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যম প্রচারাভিযানের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, ‘বিমারথ’ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে টাটা এআইএ কলকাতা মেট্রোপলিটন অঞ্চলসহ দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলায় বিমা সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই প্রচারাভিযানটি রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকদের, যেমন তরুণ পেশাজীবী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী এবং এমএসএমই-দের লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে। বড় এলইডি স্ক্রিন দিয়ে সজ্জিত একটি বিশেষ ব্র্যান্ডেড মোবাইল ভ্যান, রাজ্যজুড়ে ভ্রমণ করে বীমা শিক্ষামূলক ভিডিও প্রদর্শন করছে। টাটা এআইএ-র কর্মচারি, পরামর্শদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় মানুষদের জ্ঞাতার্থে শিক্ষামূলক সভা পরিচালনা করছেন এবং স্থানীয় ভাষায় তথ্যপূর্ণ লিফলেট বিতরণ করে বিষয়গুলি আরও ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
বীমারথ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, টাটা এআইএ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এই এলাকাগুলিতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রদান করছে। এই স্বাস্থ্য শিবিরগুলি স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির একটি সার্বিক ধারণা দেয় এবং রক্তচাপ, বডি মাস ইনডেক্স ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচক সম্পর্কেও তথ্য সরবরাহ করে। টাটা এআইএ আয়োজিত এই শিবিরগুলিতে ইতিমধ্যে ৩,০০০-এরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
একইসঙ্গে এও বলতেই হয়, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচিতে ‘বিমারথ’ কলকাতা শহরের জনপ্রিয় স্থানগুলোতে পৌঁছাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন প্রায় ১০,০০০ বাসিন্দার কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও ডিসেম্বর মাসে ‘বিমারথ’ কার্যক্রম পুরুলিয়া, সিউড়ি (বীরভূম), কাটোয়া (পূর্ব বর্ধমান), রানাঘাট (নদিয়া), বহরমপুর (মুর্শিদাবাদ), মালদা, বালুরঘাট (দক্ষিণ দিনাজপুর), রায়গঞ্জ (উত্তর দিনাজপুর), জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মতো জেলাগুলিতে পরিচালিত হবে।
এর পাশাপাশি টাটা এআইএ ‘মাসিক বিমা দিবস’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আর্থিক সুরক্ষার প্রচারাভিযান চালাচ্ছে। প্রতি মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবারটি জীবন বিমা শিল্পে ‘মাসিক বিমা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। রাজ্যজুড়ে টাটা এআইএ-সহ অন্যান্য জীবন বীমা সংস্থার শাখাগুলিতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রেতা এবং গ্রাহকদের জীবন বিমার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
সঙ্গে শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনও। টাটা এআইএ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে জীবন বিমার উপকারিতা তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। ইনস্টাগ্রামে কোম্পানি একটি ইনফ্লুয়েন্সার প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা জীবন বিমার সুরক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে, রাজ্যের তরুণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ স্থাপন করছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ রয়েছে এমন ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কোম্পানি।
চলতি অর্থবছরের গত ৮ মাসে টাটা এআইএ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক এবং স্থানীয় বিষয়বস্তু ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩০ লক্ষেরও বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে। এই প্রচারকার্যও বিশেষভাবে কার্যকর হয়েছে, যেখানে প্রায় ১১% ব্যবহারকারী পোস্টগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে গিরিশ কালরা, চিফ মার্কেটিং অফিসার, টাটা এআইএ বলেছেন, ‘টাটা এআইএ-তে আমরা IRDAI-এর ‘২০৪৭ সালের মধ্যে সবার জন্য বিমা’ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ‘বিমারথ’ ক্যাম্পেইন পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলায় কার্যক্রম চালিয়ে ২০,০০০-এরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়াও, স্থানীয়করণকৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে আমরা FY25-এ ৩০ লক্ষেরও বেশি গ্রাহকের মধ্যে জীবন বিমা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করেছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আর্থিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।‘