শেষ হল ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হল দেশ বিদেশের নানা ছবি। উৎসবে প্রাঙ্গনে প্রথম থেকেই ভিড় ছিল নজর কাড়া। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল চলে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এই কয়েকটি দিনে দেখানো হয়, ৪২টি পূর্ণ দৈর্ঘের ফিচার ছবি, ৩০টি স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ও তথ্যচিত্র। নন কম্পিটিশন বিভাগে দেখানো হয় ১০৩টি ছবি। এই প্রসঙ্গে বলতেই হয়, চলতি বছর প্রতিযোগিতা বিভাগে ২৪৫৯টি ছবির মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তবে এবারের এই উৎসবে দেখানো হয়নি কোনও বাংলাদেশের ছবি। যেখানে গত বছরেও দেখানো হয়েছিল মহম্মদ কাইয়ুম নির্মিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ফাখরুল আরেফিন খানের মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘জেকে ১৯৭১’ এবং মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। কোনও বাংলাদেশের ছবি না থাকার সাম্ভাব্য কারণ হিসেবে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আর তার জেরে ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। এই অস্থির রাজনৈতিক অবস্থা ও ভিসা জটিলতার কারণেই এবার বাংলাদেশের কোনও সিনেমা দেখানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ। তবে এরই মাঝে ১০ ডিসেম্বর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘একতারা মুক্ত মঞ্চ’-এ পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। তার সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের ছন্দময় নৃত্যে এই গান যেন বাংলার প্রতি ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ওঠে এক নিমেষে। গত ৪ এপ্রিল ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হয় কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ধন্যধান্য অডিটোরিয়ামে বসেছিল চাঁদের হাট। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তারকা ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল প্রায় গোটা টলিউডকে। ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার মতো বলিউড শিল্পীরাও। সকলকে সঙ্গে নিয়েই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তারকা সাংসদ দেবও। উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত থাকতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে গেল জাভেদ আখতার, শাবানা আজমির মতো বলিউড ব্যক্তিত্বদেরও।
এখানে একটা কথা বলতেই হয়, এই বছর চলচ্চিত্র উৎসবের থিম সং লিখেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। এই বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টভ্যাল -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত এবং জুন মালিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে হয় চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ সূচনা।
এবছর ৩০ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের থিম কান্ট্রি ফ্রান্স। এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জায়গা করে নিয়েছে ২১টি ফরাসি ছবি। এছাড়াও এবার এই উৎসবে শতবর্ষের সম্মান জানানো হয় পরিচালক তপন সিনহা, মার্লোন ব্রান্ডো, হরিসাধন দাশগুপ্ত, অরুন্ধতী দেবী, বংশীচন্দ্র গুপ্ত, সংগীতশিল্পী মহম্মদ রফি, তালাত মাহমুদ, মদন মোহন প্রমুখ ব্যক্তিত্বকে। বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয় কুমার সাহানি, অনুপ কুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম হালদার, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ও মনোজ মিত্রকে।
এখানে একটা তথ্য দিতেই হয় এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্রসঙ্গে। আন্তর্জাতিক এই ফিল্ম ফেয়ারের সমাপ্তির দিন ছিল বাংলার কিংবদন্তি চিত্র পরিচালক তপন সিনহার জন্মশতবার্ষিকী। তপন সিনহা, তাঁর সময়ের অন্যতম ভারতীয় চলচিত্র পরিচালক হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। কাজ করেছেন কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেনের সঙ্গে। শুধুমাত্র বাংলা সিনেমা জগতেই কাজ করেন নি তিনি, হিন্দি সিনেমার জগতেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। বাংলা সিনেমার বহু সিনেমাই তিনি পরিচালনা করেছেন। ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘লৌহ কপাট’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘আপানজন’ বহু সিনেমাই তিনি প্রযোজনা করেছেন। সিনেমা জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।আর সেই কারণেই উৎসবের শেষ বেলায় কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। স্বনামধন্য পরিচালককে নিয়ে ‘আপনজন’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিলাদিত্য সেন, রাজা সেন, অশোক বিশ্বনাথন, শঙ্করলাল ভট্টাচার্য, অমিতাভ নাগ। এরই পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে তপন সিনহার সঙ্গে নানা সময়ে কাজ করেছেন এমন ২৪ জন শিল্পী এবং কলাকুশলীকেও দেওয়া হয় সংবর্ধনা। সংবর্ধনা দেন নন্দনের সিইও তথা ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর দে, দুলাল লাহিড়ী, দেবিকা মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, তপন সিনহার পুত্র ড: অনিন্দ্য সিনহা, মুনমুন সেন, রজতাভ দত্ত, শকুন্তলা বড়ুয়া, কৌশিক সেন, বাসবী বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালি গুপ্ত, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, সনৎ মোহান্ত, রূপচাঁদ কুণ্ডু, শমিক হালদার, জয় চন্দ্র চন্দ, অর্জুন চক্রবর্তী, রবি চৌধুরী, মন্দিরা চৌধুরী, রোমি চৌধুরী, গৌর কর্মকার, মাধবী মুখোপাধ্যায়।
এর আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’ ছবি দিয়ে ধনধান্য অডিটোরিয়ামে শুরু হয় ফিল্মোৎসব। কালজয়ী এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, যোগেশ চট্টোপাধ্যায়, ছায়াদেবী, চিন্ময় রায়, বঙ্কিম ঘোষ প্রমুখ তারকারা। এদিকে বদল এসেছে সিনেমা জগতেও। এই যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তিরই রমরমা অর্থাৎ সেলুলয়েডের জায়গায় এখন ডিজিটাল প্রযুক্তিরই বাজার। আর সেখানে চলচ্চিত্র উৎসবের এই সংস্করণে প্রয়াত চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর ৩৫ এমএম-এর ছবি ‘দেবশিশু’-ও দেখানো হয়।
এবারও এ উৎসবে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জন্য ছিল পুরস্কার। নেটপ্যাক বিভাগে ছিল সেরা ছবির জন্য রয়েল বেঙ্গল টাইগার পদক। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত একসপ্তাহ ধরে সিনেমার উৎসবে পর্দা পড়ে সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দীক্ষামঞ্জরী’র নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সিনে উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শান্তনু বসু, ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাস, গৌতম ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী, পাওলি দাম, ঋতাভরী চক্রবর্তী, নিকোলাস ফ্যাসিনো, রিকার্ডো কস্টা-সহ আরও অনেকে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে চলতি বছর চলচ্চিত্র উৎসবে যে সকল ছবি প্রতিযোগিতায় ছিল তার মধ্যে সেরার সেরাদের নাম ঘোষণা করা হয়৷ হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি, সার্টিফিকেট ও নগদ পুরস্কার।
এবছর গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ড পেল বেস্ট ইন্ডিয়ান ডকুমেন্টারি ভবতোষের কারখানা (বাংলা)৷ এর জন্য পরিচালক দীপাঞ্জন চৌধুরীর হাতে ৩ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ও সার্টিফিকেটের সঙ্গে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
এরই পাশাপাশি বেস্ট ইন্ডিয়ান শর্ট ফিল্ম – গুলারকে ফুল (হিন্দি) ৷ পরিচালক অরণ মৈত্রের হাতে ট্রফি ও সার্টিফিকেটের পাশাপাশি তুলে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷
বেস্ট বেঙ্গলি প্যানোরমা ফিল্ম- ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন (বাংলা) ৷ অভিজিৎ চৌধুরী পরিচালিত এই ছবি সার্টিফিকেট ও ট্রফির পাশাপাশি পায় ৭.৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷
হীরালাল সেন মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড
সেরা পরিচালক (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি)-আরিয়ান চন্দ্র প্রকাশ (সিনেমা-আজুর)৷ ট্রফির সঙ্গে হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ৷
সেরা সিনেমা (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি)- লাচ্ছি (কন্নড়) ট্রফির পাশাপাশি মেলে ১০ লাখ টাকা নগদ পুরস্কারও৷ পরিচালক ও প্রযোজকের হাতে তুলে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট ৷
গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অ্যাওয়ার্ড
(ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন) সেরা পরিচালক- আনা এন্ডেরা (বিলাভড ট্রপিক) ট্রফির পাশাপাশি নগদ ২১ লাখ টাকা পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয় পরিচালকের হাতে ৷
সেরা সিনেমা- তারিকা (বুলগেরিয়া) পরিচালক মিলকো লাজারোভ ও প্রযোজক ভেসেলকা কিরয়াকোভার হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি, ৫১ লাখ টাকা ও সার্টিফিকেট ৷
এছাড়াও স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস)-এ সার্টিফিকেট পায় মেক্সিকোর সিনেমা ডেড’স ম্যান সুইচ।
স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম ক্যাটাগরি)-এর সার্টিফিকেট দেওয়া হয় হিন্দি সিনেমা নুক্কড় নাটক ছবিকে।
নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড বেস্ট ফিল্ম (এশিয়ান সিলেক্ট)- ‘পুতুলনামা’- পরিচালক রণজিত রায়।
স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্ম)- ‘মোজ্জাত’ (বাংলা)- অমৃত সরকার।
স্পেশাল জুরি মেনশন (ইন্ডিয়ান ডকুমেন্টারি ফিল্ম)- ‘মেলভিলাসম’ (মালয়লম)- পরিপ্রসাদ কেএন।
গত বছরের মতো এবারেও কিছু মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেখানো হয় বিদেশের ছবি। এই তালিকায় ছিল ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ, নন্দন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র সদন, নজরুল তীর্থ, রাধা স্টুডিও, নবীনা, স্টার থিয়েটার, মেনকা, আইনক্স কোয়েস্ট মল, আইনক্স সাউথ সিটি মল এবং নিউ এম্পায়ারে।
এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিবর্তনের ছবি ধরা পড়ল প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্তর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যে। এবারের ফিল্ম উৎসবে জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয় হরিসাধন দাশগুপ্তকে। ১০ ডিসেম্বর নন্দন-২-এ দেখানো হয় ‘একই অঙ্গে কত রূপ’। পাশাপাশি তথ্যচিত্র ‘কোনারক’ও দেখানো হয় এদিন। ১০ ডিসেম্বর ফেস্টিভ্যালে হাজির হন হরিসাধন দাশগুপ্তর পুত্র তথা পরিচালক রাজা দাশগুপ্ত, পুত্রবধূ তথা অভিনেত্রী-সঞ্চালক চৈতালি দাশগুপ্ত, নাতি বিরসা দাশগুপ্ত। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে হরিসাধন দাশগুপ্তের পুত্র রাজা দাশগুপ্ত জানান, ‘আমরা যখন নিয়মিত আসতাম তখন ফেস্টিভ্যাল ঠিক এরকম ছিল না। অনেক পাল্টে গিয়েছে। এত আড়ম্বর ছিল না তখন। এত জাঁকজমক ছিল না। এতটা আড়ম্বরের দরকার আছে কি না সেটাও জানি না। তখন আমরা শুধু সিনেমা দেখতাম ছুটে ছুটে। সিনেমাটাই মুখ্য ছিল।’ তবে নাতি বিরসা জানান, ২০১১ সালে সরকার বদলের পর হাত খুলে ফেস্টিভ্যাল করা হয়। তখন থেকে শুধু এলিট ক্লাস নয়, সবার জন্য উন্মুক্ত হয় ফেস্টিভ্যাল। যা এখনও অব্যাহত। আর এই ভাবেইনানা বিবর্তনের মাঝেই এগিয়ে চলেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
‘একদিন’ পত্রিকার সৌজন্যে