তিলোত্তমার খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে জামিন পেলেন আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। জামিন পেয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। এ খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিলোত্তমার বাবা। রীতিমতো হতাশাও প্রকাশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমরাও ভাবছিলাম এননটা হতে পারে। কারণ, সিবিআই আগেই লিখে দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যেই যা করার করব। তদন্ত যে ঠিক মতো হয়নি তার প্রমাণ তো পাওয়াই গেল। সিবিআইয়ের উপর এবার হতাশ হয়ে পড়ছি। আমরা আদালতে যাব। আদালত ছাড়া তো আমাদের কাছে কোনও রাস্তা খোলা নেই।’ একইসঙ্গে এও বলেন, ‘ওরা যে তদন্ত ঠিক পথে করছেন না তার প্রমাণ পাওয়া গেল। উচ্চ আদালতে যেতে হবে এবার।’
সন্দীপ অভিজিতের জামিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও। বলছেন, ‘এত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশের পরেও সিবিআই সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারল না। এটা অত্যন্ত দুঃখের। আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’ পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের যে এনওসি ইস্যু করার প্রয়োজন ছিল সে ক্ষেত্রে অনর্থক টালাবাহানা করে তদন্ত প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা হয়েছে। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও রাস্তা থাকছে না।’