শহরে পরপর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গত বেশ কয়েকদিনে। আর শুক্রবার সকালে যে দৃশ্য দেখা গেল, তা শিউরে ওঠার মতো। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও গল্ফগ্রিনের ওই ভ্যাটে আবর্জনা নিতে এসেছিলেন সাফাইকর্মীরা। সেই সময় তাঁরা প্লাস্টিকের মধ্যে বলের মতো কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেন। তাতে রক্ত দেখতে পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের। ভালো করে দেখতেই বুঝতে পারেন, ওটা এক মহিলার কাটা মুণ্ড। এর পরই খবর দেওয়া হয় থানায়। কিন্তু ওই এলাকা রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় হওয়ায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ আসেনি। খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। কাটামুণ্ডটা উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
তবে গলফগ্রিনের মতো জায়গায় কোথা থেকে এই ভ্যাটে কাটা মাথা এলে পৌঁছল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদা প্যাকেটে মোড়া ছিল ওই কাটা মাথা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জনবহুল একটি জায়গা হওয়া সত্ত্বেও কে বা কারা ওই কাটা মাথা ফেলে গেল, তা বুঝে উঠতে পারছে না পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মহিলাকে খুনের পর শুধু মাথাই আলাদা করা হয়নি, টুকরো করা হয়েছে গোটা দেহ। সম্ভবত প্রমাণ লোপাটে দেহাংশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকার আবর্জনার স্তূপে। সেই কারণেই, সংলগ্ন এলাকার ভ্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দেহ বস্তায় ভরে জলে ফেলে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলত, কাটামুণ্ডর রহস্য উদঘাটনে আবর্জনার স্তূপ, জলাধার থেকে শুরু করে বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে খিদিরপুরে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। শুধু মাথা নয়, হাত-পা সবই আলাদা আলাদা প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হয়েছিল সেখানে। খিদিরপুরের সেই ঘটনায় পরবর্তীতে কিনারা করে পুলিশ। মহিলার এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধেই ওঠে খুনের অভিযোগ।