চাকরি কেলেঙ্কারির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় আড়াই বছর পর প্রথমবার জামিনের মুখ দেখলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। দিনের পর দিন আদালতে কাতর আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পার্থ যে একজন প্রভাবশালী, বাইরে বেরলে যে তিনি তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন, এমনই সব যুক্তি দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন পার্থ। তবে খুব বেশি স্বস্তি নয়। কারণ, শুধু ইডির মামলাতেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর। জামিনের পাশাপাশি অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট শর্ত দিয়েছে যে জামিন পেলেও আর মন্ত্রী হতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে থাকতে পারবেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টে ইডি মামলায় জামিন পেলেও সিবিআই মামলায় জেলমুক্তি ঝুলে রইল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কলকাতা হাইকোর্টে চলছে সিবিআই মামলা। সেই মামলায় জামিন পেলে তবেই জেলমুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে তার।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনেকে ইতিমধ্যেই জামিন পেলেও ‘প্রভাবশালী’ হওয়ার কারণে পার্থর জামিন আটকে গিয়েছে বারবার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তাই ‘প্রভাবশালী’ হয়ে বাইরে বেরিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণকে প্রভাবিত করতে পারেন তিনি, এই ভিত্তিই আটকানো হয় তাকে। পার্থর বান্ধবী তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির আর এক অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও জামিন দেওয়া হয়েছে আগেই। সুপ্রিম কোর্টেও ওই জামিনকে হাতিয়ার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মুকুল রোহতাগী।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের পাশে জুড়ে রয়েছে একের পর এক মামলা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করলেও পরে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে শুক্রবার ইডি-র প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জামিন পেলেন তিনি।
পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর করা মামলার তালিকায় রয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগ গ্রুপ ডি নিয়োগ নবম-দশম নিয়োগ একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ প্রাথমিক নিয়োগ। এছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে বেনিয়মের মামলাতেও নাম রয়েছে পার্থর।
এর পাশাপাশি পার্থর বিরুদ্ধে ইডি-র করা মামলার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক নিয়োগ। শুধুমাত্র এই মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ। এছাড়াও রয়েছে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি নিয়োগ নবম-দশম নিয়োগ একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।