সম্প্রতি কলকাতার একটি ওষুধের দোকান থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে নকল অ্যান্টি ক্যানসার, অ্যান্টি ডায়াবেটিক বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, তুর্কি, বাংলাদেশ এবং আমেরিকার বিভিন্ন ওষুধের লেভেল উদ্ধার করলেন সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ কন্ট্রোল ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্যানাইজেশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ কন্ট্রোল ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে এক যৌথ অভিযান চালানো হয় বলে সূত্রে খবর। এই অভিযানের পরই সামনে আসে এমন ঘটনা। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ওষুধ প্রস্তুত করার বিভিন্ন সামগ্রী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মিলছে বাংলাদেশ যোগ। দেশি-বিদেশি নামী কোম্পানির ওষুধ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয় এক মহিলাকে। তিনি রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ক্যানসার, ডায়বেটিস মোকাবিলার ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কেন্দ্রের এই অভিযান বড়সড় সাফল্য পেল বলে মনে করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এধরনের অপারেশন আরও চলবে বলে ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ন্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, পূর্বাঞ্চলীয় শাখার তরফে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার কলকাতায় অভিযান চালানো হয়। তাতে উদ্ধার হয় প্রচুর ওষুধ, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬.৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ, আমেরিকা, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ডের তৈরির সেসব ওষুধ। কোনওটা ক্যানসার নিরাময়ের, কোনওটা আবার ডায়বেটিসের। কোনও কোনও ওষুধের স্ট্রিপে লেখা – ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। কিন্তু এসব ওষুধ ভারতে আমদানির জন্য যেসব নথি প্রয়োজন, তা পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এত বড়সড় চক্র চালাচ্ছে, তার তদন্তে নেমে ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সদস্যরা এক মহিলার খোঁজ পান। জানতে পারেন, তাঁর নেতৃত্বে জাল ওষুধের পাইকারি ব্যবসা চলছে। রিজেন্ট পার্কের ওই মহিলাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশ করা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁকে জেরা করে এই অসাধু চক্রের অন্যান্যদের খোঁজ চলছে।