আবার প্রতারণার ঘটনা বিধান নগরে। আর এই প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার এক দম্পতি। সূত্রে খবর, একটা পার্টিতে গিয়ে প্রথমেএক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় বিধাননগরের ওই ব্যবসায়ীর। মহিলার সঙ্গে কথাবার্তাও হতে থাকে। এরপর পরিচয় হয় তাঁর স্বামীর সঙ্গেও। এরপর স্বাভাবিক ছন্দে তিন জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এর মধ্যেই এই দম্পতি তাঁকে একটি ব্যবসায় মিলিতভাবে কাজ করার প্রলোভন দেখান। আর সেখানেই কেল্লা ফতে। সেই কথার ভিত্তিতে নতুন ব্যবসা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর থেকে দু কোটি টাকা নেন ওই দম্পতি। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কোনও ব্যবসা শুরু করেন না তাঁরা। দেখা তো দূরের কথা, ধীরে ধীরে ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীর। ওই দম্পতি ব্যবসায়ীকে একটি প্রস্তাব দেন। ব্যবসায়ী তাতে রাজিও হয়ে যান। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধান নগর পূর্ব থানায় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নাম বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তর।
তদন্তে নেমে এই দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই ব্যবসায়ীর থেকে টাকার লেনদেনের তথ্য মেলে। এরপরই বৃহস্পতিবার এই দম্পতিকে গ্রেফতার করে বিধান নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি একটি প্রতারণা চক্র। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে, তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, একা এই ব্যবসায়ীর সঙ্গেই নয়, হয়তো আরও অনেককেই এইভাবে ফাঁসিয়েছেন এই দম্পতি।
একইসঙ্গে এই দম্পতিকে দেখে স্তম্ভিত বিধান নগর পুলিশও। ধৃতদের চেহার একেবারেই সাদামাটা চেহারা, পার্সোনালিটিও বিশেষ নয়। তাহলে কোন জাদুবলে তাবড় বুদ্ধিমান, বিত্তমান ব্যবসায়ীকে জালে ফাঁসালেন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে পুলিশের আধিকারিকদের মনেও।