বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বনাঞ্চলকে বাণিজ্য়িক করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য

বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বনাঞ্চল কীভাবে বাণিজ্যিক বনাঞ্চলে পরিণত হল তা এবার জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের ভূমিকা দেখেও বিরক্ত হাইকোর্ট। বনাঞ্চল বাঁচাতে কেন তিনি এগিয়ে আসছেন না, সেই প্রশ্নও তুলতে দেখা গেল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে। আর এই বক্সা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বনাঞ্চলে কেন পাথর ভাঙা হচ্ছে, বা কেন-ই বা পাথর কেটে ইঁট বানানো হচ্ছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।

বক্সা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের উদ্দেশে বলেন, ‘একসময়ে আপনি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ এখন ওই বনাঞ্চলকে বাঁচাতে আপনার দেখা মিলছে না। আপনার ইমেজের সঙ্গে মিল পাচ্ছি না।’

এরই রেশ ধরে সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, ‘ওখানে পাথর ভাঙা হচ্ছে। এখন বালির বদলে পাথর মাফিয়া হয়েছে। পাথর কেটে ইঁট বানাচ্ছে। সে বিষয়ে রাজ্য জানে কি না তাও জানতে চান বিচারপতি। মামলায় তিস্তার প্রসঙ্গ ওঠায় আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক। তাঁকে বিচারপতি বলেন, ‘তিস্তাটাই বা ফেলে রেখেছেন কেন, ওখানেও নির্মাণ করে ফেলুন।’ এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, কোর এলাকায় কিছু থাকলে এখনই সরিয়ে ফেলতে হবে।

এদিকে বক্সার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে কোন হোম স্টে থাকবে, তা নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা মামলাতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ কথা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওইসব গেস্ট হাউসের মালিকরা। আদালতে সুভাষ দত্ত জানান, জলপাইগুড়িতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কোর এলাকায় এমপি দের জন্য গেস্ট হাউস তৈরি করা হয়েছিল, পরে আদালতের নির্দেশে সব ভেঙে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য, বনাঞ্চলের একদিক ব্যবহার করা হলেও সংরক্ষিত এলাকা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ২০১৩ সালে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে বনাঞ্চলকে রেভেনিউ ভিলেজ করা যাবে। তাই রাজ্য এটি রেভেনিউ ভিলেজ করে দিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − six =