সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও  বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে ফের পিছিয়ে গেল সেই শুনানি।শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, ২৪ মার্চ পরবর্তী শুনানি। এদিকে, এই ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার নির্দিষ্ট সময়ে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু এদিন শুরুতেই বলে দেওয়া হয়, সময়ের অভাবে এই মামলা পুরো শোনা যাবে না। তাই ২৪ মার্চ এই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বিচারপতিকে আইনজীবীরা অনুরোধ করেন। তারপর বিচারপতি আইনজীবীদের কিছু কথা শোনেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেদিন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দেয়, ১৫ জানুয়ারি এই মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে। বেঞ্চ কম্পোজিশন  অন্য থাকার কারণে সেদিন মামলা শোনা হয়নি। কিন্তু এদিন ফের সময়ের অভাবে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত বছর  ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা  ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেন। তার ফলে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয় ওই চাকরিপ্রাপকদের। কিন্তু প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায়, চাকরিহারা হন যোগ্যরাও। আজ তাঁদেরই ভাগ্য নির্ধারণের কথা ছিল আজ। আগের শুনানিতে পুরো প‍্যানেল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআই-এর রিপোর্টে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিয়োগে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা আগের শুনানিতেই স্বীকার করেছে নিয়েছিল রাজ্য। এদিন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বলার দিন ছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − five =