রাজ্যে স্যালাইন-কাণ্ডে পাঁচ প্রসূতির মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি আমার সীমাবদ্ধতায় কাজ করছি। রাজ্য সরকার ১৩ বছর ধরে কাজ করছে।’ একইসঙ্গে এ প্রশ্নও ছুড়ে দেন, কে বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে? দেখুন কত মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। দেখুন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা মানুষ কতটা পাচ্ছে। রাজ্য তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তদন্ত চলছে।কারও গাফিলতি পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিরোধী দলের কাউকে ফাঁসাতে হবে এমন তদন্ত নয়।’ একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘কারও গাফিলতি বা ভুলে মৃত্যু হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। স্যালাইন-কাণ্ডে কড়া শাস্তি হওয়া উচিত, চিকিৎসক বা কারও ত্রুটি, গাফিলতি থাকলে।’
এই ঘটনার মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগ ও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সেপটিক শক থেকে মাল্টিঅর্গান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মামণি রুইদাসের৷ যদিও সেই রিপোর্ট হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার৷ তাঁদের দাবি, প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক৷ চিকিৎসায় জড়িত ডাক্তার ও বাকি কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক৷