সাজ্জাকের ঘটনায় মুখ খুলল পুলিশ

শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সেই সাজ্জাকের। তিনটি গুলি লাগে তার শরীরে। কোন পরিস্থিতিতে পুলিশকে গুলি চালাতে হল, ঠিক কী হয়েছিল, সেই সব তথ্য এবার সামনে আনল পুলিশ।

শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। তিনি জানান, এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা মিলে ওই আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা করছিল গত কয়েকদিন ধরে। আর এ কথা জানতে পারার পরই পাশের রাজ‍্য এবং পাশের দেশে নজরদারি চলছিল পুলিশের তরফে। এদিকে শুক্রবার বিশেষ সূত্রে খবর আসে যে এত পুলিশ দেখে অভিযুক্ত বাংলাদেশ চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। সেই মতো বাংলাদেশের সব সীমান্ত নজরদারির আওতায় ছিল। আলাদা আলাদা টিম তৈরি করে চারদিক থকে ঘিরেও ফেলা হয়।

এদিন সকাল ৭টা নাগাদ ডিআইজি রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি সুধীর নীলকান্তমের নেতৃত্বে শনিবার ধরে ফেলা হয় সাজ্জাদকে। আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় তাকে। কিন্তু সেটা না করে সাজ্জাক গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে দাবি করে পুলিশ। এরপরই পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। তাঁর শরীরে মোট তিন জায়গায় গুলি লেগেছে বলে দাবি পুলিশের। আপাতত আইনি প্রক্রিয়া চলছে। মোট ৮ পুলিশের টিম ছিল বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের পর আরও তথ্য সামনে আসবে বলে জানান জাভেদ শামিম। জাভেদ এই প্রসঙ্গে এও বলেন, ‘পুলিশ প্রফেশনাল। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। পুলিশের উপর আক্রমণ হলে কীভাবে ট‍্যাকল করতে হয় তা পুলিশ জানে। ডিজি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকলেই প্রশিক্ষিত।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − seven =