আইনের ওপর কেউ নয়, জানালেন সঞ্জয়ের দিদি

৫৯ দিন শুনানি শেষে শনিবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে দোষী সাব্যস্ত, করা হয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তবে এদিন সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের এক দিদি। সকাল থেকে রায়ের অপেক্ষায়।সত্যিই তাঁর ভাই দোষী কি না জানেন না তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ঠিক জানি না। টিভিতেই সব দেখছি।’ সঙ্গে এও বলেন, ২০০৭ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকে বাপের বাড়ির সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে তাঁর ভাই এমন নৃশংস কাজ করতে পারেন কি না তা না জানলেও এটা স্বীকার করেন ভাই মদ্যপান করত। সঙ্গে এও জানান, ’ ছোটবেলায় আর পাঁচটা বাচ্চার মতো সাধারণই ছিল।’ এমনকী মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগও ছিল না। তারপর তাঁর ভাই ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছেন কি না, তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারেননি তিনি।

দিনশেষে ভাই দোষী সাব্যস্ত, হওয়ার পরেই সঞ্জয়ের দিদি বলেন, ‘আইনে যা প্রমাণিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী আদালত জানিয়েছে।” এই দিন আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সঞ্জয়। তাকে বলতে শোনা যায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে যদি ধস্তাধস্তি হয় তবে তাঁর গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে যেতে পারত। সেই প্রসঙ্গে সঞ্জয়ের দিদি বলেন,  ‘রুদ্রাক্ষের ব্যাপারে আমি জানি না। অনেক দিন ওর সঙ্গে দেখা হয়নি।’

সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন কি না সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আর কী করতে যাব? আইন যা বলবে তা-ই ঠিক। আইনের যা মনে হবে, আইন তাই করবে। আইনের উপরে কেউ নয়। তাই, আমি বলার কেউ নই। আইনের মনে হলে ফাঁসি দেবে। তবে আমি গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করব না।ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।এটা হওয়া উচিত ছিল না। তবু হল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + fifteen =