শহরে ফের হেলে পড়ল বহুতল, ট্যাংরায় আতঙ্ক

বাঘাযতীনের পর এবার ট্যাংরা। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে একটি ছ তলা বহুতল পাশের একটি আবাসনের উপরে হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসে। আর তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হল বুধবার সকালে। স্থানীয় কাউন্সিলরের থেকে খবর পেয়ে এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা৷ যথাযথ অনুমতি নিয়েই বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডে এই ছ তলা বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল। কাজও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে বহুতলটি নির্মিত হচ্ছে, ঠিক তার পাশেই রয়েছে আরও একটি বহুতল। সেখানে বসবাসও করেন লোকজন। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে পাশের বহুতলটির একেবারে গা ঘেঁষে হেলে গিয়েছে নির্মীয়মাণ বহুতলটি। গ্যাপ নেই বললেই চলে। এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, গত পরশু দিন অর্থাৎ সোমবার তিনি জানতে পারেন, ওই বহুতলটি হেলে পড়েছে। এরপরই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে বিষয়টি জানান তিনি।

বাঘাযতীনের বহুতলটি পাশের একতলা একটি বাড়ির উপরে ভেঙে পড়েছিল৷ ট্যাংরার এই বহুতলটি পাশেই প্রায় সমান উচ্চতার অন্য একটি বহুতলের উপরে বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়েছে৷ নির্মীয়মাণ বহুতলটিতে এখনও কোনও আবাসিক না এলেও পাশের বহুতলটিতে অনেকগুলি পরিবার বসবাস করে। বাঘাযতীনের এই ঘটনারক পর স্বভাবতই ওই বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খোঁজ চলছে নির্মীয়মাণ বহুতলটির প্রোমোটারের।এ প্রসঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা এও বলেন, ‘স্থানীয় সূত্রে খবর আসে বিল্ডিংটি বেঁকে গিয়েছে। আমি সাথে-সাথে বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে জানাই বিষয়টি। তারা স্পটে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য যা যা করার আমরা করছি। ডিপার্টমেন্ট মেয়রকে জানিয়েছেন কি না আমি বলতে পারব না। বাঘাযতীনের ঘটনার পরও প্রোমোটাররা সতর্ক হচ্ছে না। দু’পয়সা লাভের জন্য এই সব সস্তার কাজ করছে।’

বাঘাযতীনের ক্ষেত্রে বহুতলটিকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা৷ ট্যাংরার এই বহুতলটির ভবিষ্যৎ কী হয়, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − fifteen =