২০২৬ সালেই আগেই রাম মন্দির তৈরি হবে। কোথায়, কবে শুরু হবে কাজ, কবে খুলবে মন্দির, জানিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। দিঘার ‘জগন্নাথ’ মন্দির খোলার পরই নন্দীগ্রামে ‘রাম মন্দির’ তৈরির কথা ঘোষণা করলেন তিনি। বুধবার নন্দীগ্রামে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। একইসঙ্গে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় নন্দীগ্রামে। সনাতনীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্দির পুজো দেওয়া হয়। এদিন গেরুয়া ধ্বজা হাতে নন্দীগ্রাম দু নম্বর ব্লকের ভেটুরিয়া থেকে রেয়াপাড়া শিব মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা শেষে মঞ্চে উঠেই ঘোষণা করেন রাম মন্দির তৈরির কথা। প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অন্যতম বড় হাতিয়ার ছিল অযোধ্যার রাম মন্দির। যদিও রাম মন্দির নির্মাণ ভোটবাক্সে কতটা প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এ বার রাজ্যেও ‘রাম মন্দির’ তৈরির কথা ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘সোনাচূড়াতে আমার আড়াই বিঘা একটি জায়গা রয়েছে। ওই জায়গাতেই আমরা স্থায়ীভাবে রাম মন্দির নির্মাণ করব। আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’ এদিকে কয়েকদিন আগেই দিঘায় ‘জগন্নাথ ধামের’ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলা হবে ওই মন্দির। কাজও প্রায় শেষের দিকে। ঠিক উল্টো প্রান্তে হলদি নদীর পারে শুভেন্দুর নিজেরই বিধানসভা এলাকায় নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের সোনাচুড়া মৌজায় প্রায় আড়াই বিঘা জায়গার উপর গড়ে উঠবে রাম মন্দির।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। যদিও, রাজ্যের ক্ষেত্রে সেটা আদৌ কাজে লাগেনি বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ২৬-এ রয়েছে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। নিজের কেন্দ্রেই রাম মন্দির নির্মাণ করে সেই একই পথে হাঁটতে চলেছেন শুভেন্দু কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে বিষয়টিতে আমল দিতে চাইছে না শাসক দল। বাংলার মাটিতে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির জায়গা নেই বলে দাবি তৃণমূলের। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি উন্নয়ন বাদ দিয়ে শুধু এই নিয়ে থাকুক। সন্ন্যাস গ্রহণ করে কুম্ভমেলা চলে যাক, ধর্ম নিয়ে প্রচার করুক। এই সব মানুষকে নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।’