কুণালের মানসিকতা নিয়ে আক্রমণ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস জায়ার

তিলোত্তমার বাবাকে আক্রমণ করায় কুণাল ঘোষকে এবার বিদ্ধ করলেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের স্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ‘কুণালবাবু প্লিজ জানুন কষ্ট বেদনার প্রকাশ বড় ব্যক্তিগত। আপনার মন্তব্য এত অংসবেদনশীল, রূঢ় কেন? দোষী কী একজন? নাকি মা-বাবা কাঁদছেন না মানে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে মেরেছেন?’

এখানেই শেষ নয়। তিনি ফেসবুকে আরও লেখেন, ‘২০ দিনের মধ্যে বাবা ও মাকে হারিয়েছিলাম। এতমাত্র সন্তান হয়েও কাঁদতে পারিনি একফোঁটাও। স্বামী মারা যাওয়ার পরেও তাই। কিন্তু আমি এই শক আজও বয়ে বেরাচ্ছি। সময় সে কষ্ট লাঘব তো করতেই পারিনি, বরং দিন দিন আরও বাড়ছে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিলোত্তমার মা-বাবার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার ও সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, ‘পরিবারের তরফে কোনও আপিল এখনও করা হয়নি। নির্যাতিতার পরিবারের অপর আইনজীবী গার্গী গোস্বামী বলেন, ”পরিবার এখনও পর্যন্ত ফাঁসি চায় না। তাই আমরা আবেদন করিনি।’ এই পরিস্থিতিতে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। বলেন, ‘নির্যাতিতার বাবা মা সঞ্জয়ের ফাঁসি চান না। কাদের কথাতে চলছেন তাঁরা! কারা রয়েছে পেছনে! সিপিআইএম, অতিবাম আর জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ওদের মুখে! নির্যাতিতার বাবা মা সঞ্জয় রাইকে প্রোটেক্ট করছেন। এরপর তো জেলে সঞ্জয়ের জন্য খাবার নিয়ে যাবেন। রহস্যজনক আচরণ করছেন তাঁরা।’

একইসঙ্গে কুণালের দাবি, চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁরা কিছু লুকাচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন। এরপরই কুণালকে বলতে শোনা যায়, ‘মেয়ের মৃত্যুতে বাবা-মার বুক ভেঙে গিয়েছে। অথচ সেদিন থেকে স্নায়ু ধরে রেখে একেকদিন একেকরকম বিবৃতি দিয়ে যাওয়া, কী করে হতে পারে? আমরা কান্নার ছবি দেখতে পেলাম না। আমরা বুকফাটা আর্তনাদের যে ছবি দেখে থাকি, তাঁরা ইস্পাতকঠিনভাবে প্রথম দিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।’ কুণালের এই মন্তব্য নিয়েই তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। এবার এই ইস্যুতেই তাপস পালের স্ত্রীর রোষানলে কুণাল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 10 =