ফের মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশের। তাদের তদন্তে ভরসা রাখতে পারল না কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৪-এ এক্কেরে প্রথমে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শেখ শাহজাহান-কাণ্ডে শিরোনামে আসে সন্দেশখালি। এরপর ফের শিরনামে আসে এই সন্দেশখালিই ২০২৪-এর শেষেও। কারণ, এই সন্দেশখালি থেকে সামনে আসে গুরুতর অভিযোগ। তৃণমূল নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা। সঙ্গে তিনি এও জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোনও লাভ হয়নি। বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এবার সেই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠল প্রশ্ন। আর এই মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার এও বুঝিয়ে দেয়, সন্দেশখালির ঘটনায় যে তদন্ত করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে তা যথেষ্ট নয়। আদালত সূত্রে খবর, সন্দেশখালি থানার তদন্তে সন্তষ্ট নয় আদালত সে কথা উল্লেখ করেই বুধবার এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশ, তদন্তের অগ্রগতি কেমন হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এক মাস বাদে জমা দিতে হবে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে।
আদালত সূত্রে খবর, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। বুধবার সেই মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট। এছাড়া পুলিশের ওই বিশেষ টিমে সদস্য হিসেবে থাকবেন আইপিএস রাহুল মিশ্র, বাদুরিয়া বসিরহাট পুলিশ জেলার এসডিপিও।
এই মামলায় নির্যাতিতা আগে আদালতে জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছে তৃণমূলের লোকজন। এ কথা শুনে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নির্যাতিতাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। উল্লেখ্য, শেখ শাহজাহান পালিয়ে যাওয়ার পর এই সন্দেশখালিতেই মহিলাদের ওপর অত্যাচারের নানা ঘটনা সামনে এসেছিল। অনেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।