২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অর্থাৎ হাতে সময় মেরে কেটে এক থেকে দেড় বছর। এমনই এক প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ, রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। আর সেই কারণেই সুকান্তর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠছে স্যাপ্রন ব্রিগেডের অন্দরে। এদিকে এই পদে শুভেন্দু অধিকারীকে চাইছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। কারণ, হিসেবে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জানান, “আমি আগেও সমালোচনা করেছি। প্রকাশ্যে এই নিয়ে বলেছি। আমি বলতে চেয়েছি, একজন ফুলটাইম সভাপতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মতো এরকম উপদ্রুত রাজ্যে বিজেপি কোথাও পৌঁছতে পারবে না।”
পাশাপাশি তিনি এও জানান, তাঁর ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এই পদটা অধিকার করার একমাত্র মানুষ হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে এ প্রশ্নও তিনি ছুড়ে দেন, শুভেন্দু যদি পদটা পান, তাতে তাঁর কোনও লাভ হবে কি না বা তাঁর আমার দুটো পয়সা আসবে কি না তা নিয়েও। সঙ্গে এও বলেন, তাঁকে এরজন্য বিজেপি কোনও পদও দেবে না বা তাঁকে বিজেপি রাজ্যসভাতেও পাঠাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তথাগত। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার রাজ্যপাল ছিলেন। আর ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০২০ সালের অগস্ট পর্যন্ত মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। বছর উনআশির তথাগত বাম আমলে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বললেন, বিজেপি তাঁকে কিছু দিয়েছে। তিনি যখন বিজেপিতে গিয়েছিলাম, তখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি একটা ছোট্ট দল ছিল। তখন তাঁকে অনেকেই পাগল বলেও আখ্যা দেন। কারণ, সেই সময় বাম প্রভাবিত রাজ্যে বিজেপি করা বাতুলতা ছিল মাত্র। আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীকে এই পদে আনার ব্যাপারে সমর্থন করা তা পুরোপুরি দলের জন্যই তিনি করছেন। এতে দল উপকৃত হবে। তবে এটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি যে, বাকিটা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যাপার।