তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা বন্ধন ব্যাঙ্কের

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক।এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জাানানো হয়, তাদের মোট ব্যবসা ১৭শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ২.৭৩ লক্ষ কোটি টাকায়। বর্তমানে ব্যাঙ্কের মোট আমানতের মধ্যে খুচরো আমানতের (রিটেল) পরিমাণ প্রায় ৬৯শতাংশ।

তবে ব্যবসা বাড়লেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪২৬ কোটি টাকায়। গত বছরের একই সময়ে ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ছিল ৭৩৩ কোটি। টাকা। অবশ্য সুদ বাবদ ব্যাঙ্কের নিট আয় অর্থাৎ নেট ইন্টারেস্ট ইনকাম ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২,৮৩০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ছিল ২,৫২৫ কোটি টাকা। এই আয় বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশ। আর স্থূল অনাদায়ী সম্পদ অর্থাৎ গ্রস এনপিএ দাড়িয়েছে  ৪.৭ শতাংশ, যা এক বছর আগে ছিল ৭ শতাংশে। নেট অনাদায়ী সম্পদের পরিমাণ ১.৩ শতাংশ। যা আগের বছরের ২.২ শতাংশ থেকে কমেছে।

ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত বলেন, ‘তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বন্ধন ব্যাঙ্কের ভাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ঝুঁকি ও নিয়মকানুনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। গ্রাহকদের বিশ্বাস এবং কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমই আমাদের সাফল্যের ভিত্তি।’ এর পাশাপাশি তিনি এও জানান,’ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, উন্নতি প্রযুক্তি আনা হয়েছে,আরও কার্যকরি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, টিমকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্ক এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত, যাকে আমরা বলছি ‘বন্ধন ব্যাঙ্ক ২.০’। আমরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াগত উন্নয়ন এবং পণ্য ও টিমের শক্তিবৃদ্ধির মাধ্যমে আগামী দিনে আরও অগ্রগতি করতে প্রস্তুত।’

 

ক্ষুদ্রঋণে নিয়ন্ত্রণঃ

ক্ষুদ্রঋণে কঠোর বিধিনিষেধ: আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী, একাধিক ঋণগ্রহীতার ক্ষেত্রে ঋণসংক্রান্ত কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে, যা ব্যাঙ্কের মাইক্রোফাইন্যান্স ব্যবসায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ঋণের গুণগত মান উন্নতি: অনাদায়ী ঋণ  কমানোয় ব্যাঙ্কের নজর রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ: ক্ষুদ্রঋণের উপর নির্ভরতা কমিয়ে হোম লোন, গৌণ বাণিজ্যিক ঋণ এবং অন্যান্য সুরক্ষিত ঋণের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ব্যাঙ্ক নতুন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে:

কিউআর-ভিত্তিক ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থা: স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাঙ্ক কিউআর-ভিত্তিক পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করেছে।

কঠোর ঋণ প্রদান নীতি: একাধিক ঋণগ্রহীতা যাতে ঋণের বোঝায় না পড়েন, তার জন্য সর্বাধিক ঋণ সংস্থার সংখ্যা তিনটি নির্ধারিত হয়েছে।

ক্ষুদ্রঋণের নির্দিষ্ট সীমা: ঋণগ্রহীতাদের মোট অনিরাপদ ঋণের পরিমাণ ২ লাখের বেশি হবে না।

ঋণ পুনরুদ্ধারে কড়া ব্যবস্থা: ৩০ দিনের বেশি সময় ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, সেই গ্রাহক নতুন ঋণ পাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 3 =