সরস্বতী পুজোয় জেলায় জেলায় বিশেষ বার্তা বঙ্গ বিজেপির নেতাদের

কলকাতায় একাধিক কলেজে পুজোয় বাধার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এমনই এক বিতর্কিত আবহে এই সরস্বতী পুজোকে হাতিয়ার করেই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেড। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানোও হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। এই বার্তায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যত বেশি সম্ভব সরস্বতী পুজোর আয়োজন করার। দলের জেলা কার্যালয় থেকে স্থানীয় এলাকার পুজোগুলিতে বাড়তি নজর দিতেও বলেছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। একইসঙ্গে বিধায়ক-সাংসদদেরকে বার্তা, পুজোয় অংশ নেওয়ার। তবে এদিকে আবার সংসদে চলছে বাজেট অধিবেশন। ফলে সাংসদরা দিল্লিতে ব্যস্ত। সেক্ষেত্রে এই তদারকি করতে হবে টেলিফোনে, যাতে পুজোয় বিজেপির লোকজনদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। পুজো বেশি করে মনীষীদের পুস্তকবিলির উপরেও জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের তরফ থেকে। বার্তা গিয়েছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কাছেও। তাঁদের কর্মীরাও যেন পুজোয় বেশি করে অংশগ্রহণ করেন সে কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে রবিবার সকালেই হরিণঘাটা বিধানসভার নগর উখড়ায় সরস্বতী পুজোয় অংশ নিতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এখানেও আবার সরস্বতী পুজো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। নগরউখড়া দাসবেরিয়া দাস গোলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হবে। আর তা হবে বিডিওর তদারকিতে। সূত্রের খবর, যে পুজো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, সেখানে অবশ্য যাবেন না বিরোধী দলনেতা। এলাকার পুজোয় যাচ্ছেন। তেমনটাই জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় তৃণমূল বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মণ্ডল স্কুলের টিচার ইনচার্জ কাশীরাম বর্মনকে বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করলে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারপরেই হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন। ওই স্কুলে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র সরস্বতী পুজোয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই আবহে বিজেপির এই ‘বার্তা’ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতির বিশ্লেষকেরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − three =