বেলেঘাটার মিঁঞা বাগানে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী

বেলেঘাটার মিঁঞা বাগানে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য। পরিবারের অভিযোগ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুন নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ তা নিয়ে তদন্তে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তুলিকা ধর। মৃতার পরিবারের দাবি, সাত মাস আগে বেলেঘাটার বাসিন্দা দিবাকর ধরের সঙ্গে

মাত্র মাস সাতেক আগে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে সরস্বতী পুজোর সকালে বাড়িতে আসে ফোন! শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, ‘মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।’ হঠাৎ করেই কীভাবে মেয়ের মৃত্যু, তা ভাবতেও পারছিলেন না মেয়ের বাড়ির লোক। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, খাটের ওপরে পড়ে রয়েছে মেয়ের শরীর। গলায় ওড়নার ফাঁস।

তবে এই ঘটনার পাশাপাশি মৃতার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে অত্যাচার শুরু করেন দিবাকর। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে বলেছিলেন তুলিকা। কিন্তু নতুন বিয়েতে প্রথমে সমস্যা হয় বলে বুঝিয়ে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাপের বাড়ির সদস্যরা। কখনও আর তাই অশান্তির কথা জানাননি তুলিকা। আর সমস্যা সেখানেই। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে বাড়তে থাকে অত্যাচার। এরই মধ্যে দিবাকর বিবাহ বহির্ভূত একটি সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি পরিবারের। তাতে তুলিকা বাধা দেওয়ায় আরও অশান্তি বাড়ে।

এরপরই সরস্বতী পুজোর রাতে আসে ফোন। তুলিকার পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে দিবাকরের বাড়ির লোক ফোন করে জানান তুলিকা আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, তাঁরা পৌঁছে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় খাটে শোয়ানো তুলিকার নিথর দেহ। ইতিমধ্যেই দিবাকর ধরকে আটক করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + 15 =