রাজ্য সরকারের দফতরকে সাহায্য করছে না পুলিশ, পর্যবেক্ষণ আদালতের

পুলিশ যে আর মানুষের কাছ থেকে ভরসা আদায় করতে ব্যর্থ বা পুলিশের স্বচ্ছ যে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তা বৃহস্পতিবার ধরা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টের এক মামলায়। কারণ, পুলিশ রাজ্যের নিজস্ব দফতরকেও সাহায্য করে না বলেই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। বিচারপতির প্রশ্ন, কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্তাকেও এভাবে হেনস্থা করে পুলিশ তা নিয়েও। শুধু তাই নয়, পূর্ব বর্ধমানের একটি মামলায় সেই জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। টাকা নিয়েও মামলাকারীকে সম্পত্তি না দেওয়ায় ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশকেও ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আদালত সূত্রে খবর, বর্ধমানের মেমারির একটি বাড়ি বিক্রি নিয়ে মামলার সূত্রপাত। ২০২২ সালের একটি সম্পত্তি বিক্রি করে উচ্চপদস্থ কর্তার থেকে টাকা নেন। রাজ্যের ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের বক্তব্য ছিল, টাকা পয়সা তাঁরা পেয়ে গেলেও, বাড়ি থেকে জবরদখলকারীদের ওঠানো যাচ্ছে না, তাই সেই ব্যক্তিকে বাড়ি ‘হ্যান্ডওভার’ করা যাচ্ছে না। এরপরই ওই ব্যক্তিকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন দফতর। আর সেক্ষেত্রেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য দফতর।

এরই সূত্র ধরে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের জন্য মামলাকারী কেন সমস্যায় পড়বেন? তিন বছর কেটে গেলেও আপনারা কেন আসেননি আদালতে? কেন মামলাকারীর কাঁধে বন্দুক রেখেছেন বা কেন তাঁকে মামলা করতে বলেছেন?’ কেন এক্ষেত্রে ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন দফতর রাজ্য পুলিশের সাহায্য নেয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি এও বলেন, ২০২২ সালের ঘটনা। ২০২৫ সাল হয়ে গেল, এতদিনেও কেন ওই উচ্চপদস্থ কর্তা তাঁর টানা পাননি, তা নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে দফতর। এরপরই এস পি বর্ধমান ও মেমারি থানাকে নির্দেশ দেন, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + six =