রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল জিটি রোডের উপর। বেলুড়ে জিটি রোডে তর্কসিদ্ধান্ত লেন এবং দেওয়ানগাজির মধ্যবর্তী এলাকায় ট্যাক্সি ও দুটি বাইককে পিষে দেয় সিমেন্ট মিক্সিং ডাম্পার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ট্যাক্সির চালক ও এক যাত্রীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিশালাকার ডাম্পারের নিচে সম্পূর্ণ দলা পাকিয়ে যায় হুলুদ রঙের ট্যাক্সিটি। দুটি বাইকের তিন আরোহীও গুরুতর জখম হন। তাঁদের হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রাত তখন ১১টা ৫০৷ হাওড়ার বালি থানার অন্তর্গত জিটি রোডে দেওয়ানগাজি এলাকায় বিকট আওয়াজ। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা আওয়াজের উৎস ধরে ঘটনাস্থলে আসেন৷ রাস্তায় আসতেই নজরে পড়ে একটি লরি ও ট্যাক্সির সংঘর্ষ হয়েছে৷ ঘাতক লরিটি এমনভাবে যাত্রী ভর্তি ট্যাক্সিকে ধাক্কা মেরেছে, তাতে ট্যাক্সি প্রায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে৷ ট্যাক্সির সামনের অংশ বা পিছনের অংশ কোনটি তা বোঝা দায়। কারণ, দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে ট্যাক্সিটি। ট্যাক্সির ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে এও জানা গিয়েছে, ভয়াবহ ওই পথ দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্যাক্সিটিকে, রাস্তা ঢালাই করা লরিটি বেপরোয়াভাবে এসে ধাক্কা মারে ৷ ধাক্কার তীব্রতা এতটাই জোরাল যে ট্যাক্সিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালি থানার পুলিশ। এরপর দমকল এসে লরিটিকে সরিয়ে গ্যাস কাটার দিয়ে ট্যাক্সির দরজা কেটে চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে৷
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বালি কেন্দ্রের বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়৷ ঘাতক লরির চালক বর্তমানে পলাতক, তাকে খোঁজ করার চেষ্টা চলছে, বলে জানিয়েছে বালি থানার পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। লরিটির রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষা করে লরির মালিক কে, তা জানা যাবে৷ যদিও দুর্ঘটনায় মৃত দুই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁরা কোথাকার বাসিন্দা, জানতে বালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷