বন্দুক আর কার্তুজ মেলায় হাজী আব্দুল রশিদ মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে হাজী আব্দুল রশিদ মোল্লার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। তারপরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কোর্টে সেই লাইসেন্স জমা দেওয়া হয়েছে। রশিদের বাড়ি জীবনতলার উজিরমোড় এলাকায়। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। শনিবার ওই এলাকাতেই রেইড করে বেঙ্গল এসটিএফ। উদ্ধার হয় ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। চোরপথে এইসব আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ বিক্রি করা হতো বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। রশিদ ছাড়াও হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বছর একাত্তরের বাসিন্দা হাজি রশিদ মোল্লা, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সামনে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর, লালবাজারের খুব কাছের একটি অস্ত্র ডিলারের থেকে গিয়েছিল কার্তুজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক এজেন্টের মাধ্যমে গুলি বিক্রি করা হতো। এও জানা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া ১৯০টি কার্তুজ লাইসেন্সপ্রাপ্ত .৩২ বোরের পিস্তলের। এই কার্তুজ প্রিতিটি ১২০ টাকায় বিক্রি হয় ডিলারের থেকে। অস্ত্র পাচারকারীর থেকে কার্তুজ বিক্রি হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এও জানা যাচ্ছে, বৈধ অস্ত্র যারা রাখেন তাদের কোটা দেখিয়েই চলছিল এই করবার। প্রত্যেক বৈধ অস্ত্রের কোটায় বছরে ৫০টি কার্তুজ ইস্যু করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০টি কার্তুজ ইস্যু হয়। সেখানেই খাতায় কলমে কার্তুজ বিক্রি দেখিয়ে সেগুলি ডিলারের থেকে চলে যেত বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বসিরহাট থেকে ফারুক মালিক নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ফারুকের কাছে থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চারটি ফ্যাক্টরি মেড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এসটিএফ মনে করছে এই কার্তুজ গুলো অন্য কোনও লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকান থেকে কেনা। বিবাদি বাগের লাইসেন্স প্রাপ্ত অস্ত্র বিপণি ছাড়াও আরও বিপণির যোগ থাকতে পারে বলে ধরানা রাজ্য এসটিএফ এর গোয়েন্দাদের। কারণ ফারুকের কাছে যে চারটি কার্তুজ পাওয়া গেছে সেগুলিও ফ্যাক্টরি মেইড। যা বিবাদিবাগ বিপণির নয় বলে জানা যাচ্ছে। তাহলে অন্য কোন বিপণি থেকে নেওয়া হল খোঁজ নিচ্ছে এসটিএফ।