রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বুধবার দাবি করলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আটকানোর জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে। মাস্টার প্ল্যানের কাজ হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। যারা মিছিল করছে, তারা মিছিল করতেই পারেন। তারাই আবার ফিরে এসে বলবেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন জরুরি। দাসপুরে আগামী ২৫ তারিখ মিছিলের ডাক দিয়েছেন স্থানীয়রা। চন্দ্রেশ্বর খাল বাঁচাও কমিটি এই মিছিলের ডাক দিয়েছে। বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হল।’
এদিকে সূত্রে খবর, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আপাতত দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যকে। গত রবিবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে হওয়া বৈঠকে এই দুটি বিষয়ে সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় প্রশাসনকে। তাই এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই গ্রামে গ্রামে বা শহরের নানা ওয়ার্ডে লিফলেট নিয়ে যাবেন কমিটির সদস্যরা। আর এই লিফলেট দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাবে কমিটি। ছাপানো হচ্ছে মাস্টার প্ল্যানের সুবিধার লিফলেটও।
রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১০ হাজার কৃষক পরিবারের থেকে ১০৫ একর জমি কেনা হবে ৷ চাষীদের বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি দাম দিয়ে জমি কেনা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত হতে চলেছে একাধিক পাম্প হাউজ ও রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট।
এই প্রসঙ্গে এও জানা গেছে যে, পাম্প হাউজ একটা হবে নারায়ণী খালের উপরে। এছাড়াও দুধের বাঁধের উপর একটা। রূপনারায়ণের আউটফলের উপর একটা। আর স্লুইসগেট হবে চন্দ্রেশ্বর খালের ওপর। যা আদতে রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট হবে। কেটিয়া খাল ও শিলাবতী নদীর সংযোগে রেগুলেটর সহ স্লুইস গেট। কাকি ও কোশী নদীর সংযোগে রেগুলেটর সহ স্লুইস গেট। দাসপুর-২ ব্লকে রুপনারায়ণের আউটফলের জায়গায় রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট। দাসপুর-১ ব্লকে শিলাবতীর জল যখন চন্দ্রেশ্বরে পড়বে সেখানে রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট। এছাড়া চন্দ্রেশ্বর খালের ৫.৮ কিমি-র উপরে আরও ১৯ স্লুইস গেট হবে।
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক সারছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। গত রবিবার সাংসদ-মন্ত্রী-সহ একাধিক বিধায়করা মিটিং করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তারাও কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নির্বিঘ্নে যাতে গোটা কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়, সেদিকেই নজর সকলের।