তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে চেতলার বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই স্ক্রুটিনি করতে পথে নামতে দেখা যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এই স্ক্রুটিনির সময় প্রত্যেকের ভোটার কার্ডও খতিয়ে দেখেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে এই স্ক্রুটিনি করতে পথে নামতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে। তৃণমূলের তরফ থেকে এই কর্মসূচিতে ভোটার তালিকায় মৃত কারও নাম রয়ে গিয়েছে নাকি, সে সংক্রান্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়। এরপরে নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। আরও একবার স্ক্রুটিনি করা হবে বলেও জানান ফিরহাদ। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ এও জানান, ‘ভুয়ো ভোটার কত, ডেড ভোটার কত, সেই সব আলাদা আলাদা করে তালিকা করতে হবে। এই অনুযায়ী সেই লিস্ট স্ক্রুটিনি করে আমাদের প্রত্যেকটা বুথে সেই, অ্যাসেম্বলি নম্বর, পার্ট নম্বর দিয়ে, বুথ নম্বর দিয়ে স্পেসিফিক করে দেব কাকে পেলাম, কাকে পেলাম না। সেই অনুযায়ী পার্টি যদি দেখে একটা পরিমাণের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে, সেটা ইলেকশন কমিশনের কাছে নিয়ে যাব।’ পাশাপাশি মেয়রের সংযোজন, ‘তিন-চারটে নাম পেয়েছি যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম আছে। তাঁরা এখানে থাকেন না অথচ নাম আছে। কিছু আছে যাঁদের এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। এই পাড়ায় আমি বড় হয়েছি, জন্মেছি, অথচ কখনও দেখিনি, এমন তিন-চারজনের নাম পেলাম।’
শুধু মেয়র ফিরহাদ হাকিম-ই নন, শনিবার এই স্ক্রুটুনি করতে দেখা যায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকেও। ১১৬ নম্বর বিধাননগর বিধানসভার অন্তর্গত বিধাননগর পুরনিগমের অন্তর্গত ১৪টি ওয়ার্ডের কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি ও কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান দমকলমন্ত্রী। সুজিতের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডলও। শুধু কলকাতা বা বিধাননগর-ই নয়, অন্যান্য জেলাতেও চলে এই কর্মসূচি। বারুইপুর এলাকায় সায়নী ঘোষ ও বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে সক্রিয় অংশ নিতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি রবিবার থেকেই ভোটার তালিকার সংশোধনে নেমে পড়ার বার্তা দেন দুই তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিকে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন উদয়ন গুহ।