বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ও তাঁর সঙ্গীর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায় হাইকোর্ট। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রক্ষা কবচ বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত সূত্রে খবর, অর্জুন সিং ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গী প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। শুনানি শেষে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রক্ষা কবচ বহাল রাখেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া থানার পুলিশকে হেনস্তার অভিযোগে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় আগেও নির্দেশ ছিল, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। ভাটপাড়া পুলিশের দাবি, বারাকপুর থানার পুলিশ কর্মীরা যখন অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে নোটিস নিয়ে হাজির হন, তখন তাঁর দেহরক্ষী এবং অর্জুন সিং নিজে অফিসারদের হেনস্থা করেন। হাই কোর্টে রক্ষকবচ চেয়ে আবেদন করেছিলেন অর্জুন সিং।
তবে এদিন এই জামিনের শুনানির সময় বিরোধিতা করতে দেখা যায় বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। কল্যাণ আদালতে হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সামনে দাঁড়িয়েই কটাক্ষের সুরে জানান,’ পালং শাক কেনার মতো হাইকোর্টে অর্ডার দেওয়া হচ্ছে।’ পাশাপাশি কল্যাণের সংযোজন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এই ধরনের মামলা করছে। এফআইআর খারিজের জন্য এভাবে আসা যায়? কোন একটা কারণ দেখিয়ে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে আসছেন এবং অর্ডার নিয়ে যাচ্ছেন। একমাত্র এই হাইকোর্টে এটা হয়।’ সঙ্গে এও জানান,‘রক্ষাকবচ নেওয়া হচ্ছে আর মামলা পিছিয়ে দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’ এর প্রত্যুত্তরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘সব মামলা নয়, হতে পারে কিছু মামলা এমন নির্দেশ পাচ্ছে।’