ক্যাব চালককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ যাদবপুর সংলগ্ন বিজয়গড়ে। লালকার মাঠে পার্কিং নিয়ে বচসার জেরে জয়ন্ত সেন নামে এক ক্যাব চালককে প্রবল মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সেই যুবকের। ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারের খবর নেই। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজয়গড়ের বাসিন্দা বছর ৩৬-এর জয়ন্ত সেন পেশায় ক্যাব চালক। রাতে ফিরে বাড়ি ঢোকার আগে গাড়িটি রাখতেন লালকার মাঠের কাছে। গত বুধবারও প্রতিদিনের মতো সেখানেই গাড়িটি রেখেছিলেন। এদিন একটি স্কুটি পড়ে গিয়েছিল তাঁর গাড়ির কাছেই। এরপর যাঁদের স্কুটি তাঁরা ওই ক্যাব চালকের গাড়িটির নম্বর অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করে দেখে। এরপর চালকের ফোন নম্বর বের করে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে বলে অভিযোগ। এরপর চলে প্রবল মারধরের ঘটনা। এলাকাবাসীর দাবি, রাত ১২টার পর ওই ঘটনা ঘটে। মারধরের জেরে প্রবল ভাবে জখম হওয়া জয়ন্তকে বুধবার রাতেই জয়ন্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বছর চারেক আগে বিয়ে হয় জয়ন্তর। তাঁর এক দেড় বছরের সন্তান রয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাটিতে ফেলে চার পাঁচজন মিলে মারধর করছে জয়ন্তকে। অভিযোগ, মুখে কাপড় বেঁধে মারধর করা হয় যাতে চিৎকার না করতে পারেন ওই যুবক। জয়ন্ত প্রথমে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন, তা সত্ত্বেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষজন তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, আঘাতের কারণে তার দেহের অভ্যন্তরীন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে জয়ন্তর।
এরপর অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। তবে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর থানার পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বসুন্ধরা গোস্বামীও পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। বসুন্ধরা গোস্বামীও জানিয়েছেন, ‘পুলিশ বারবার আশ্বাস দিচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।’