ভোটগ্রহণের কাজের জন্য বরাবরই বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসাকে ব্যবহার করাটাই নিয়ম হয়ে গেছে ভারতের যে কোনও জায়াগার নির্বাচনে। সেই ট্র্যাডিশন থেকে বাদ পড়েনি ২০-২৩-এর পঞ্চায়েতও। তবে সমস্যা হল, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্কুলে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। চলে ভাঙচুর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহৃত বহু স্কুলে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাতে নষ্ট হয়েছে স্কুলের মূল্যবান সম্পত্তি। এবার তাই সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে ক্ষতি হয়েছে ত পূরণের দাবি জানাল অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।
এই বিষয়ে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনী কাজে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি হাই স্কুল, হাই মাদ্রাসা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বহু জায়গায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ার, বেঞ্চ এবং আসবাবপত্র ভাঙ্গা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে এরকমই ক্ষতির মুখোমুখি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ক্ষতি হয় তা কখনওই পূরণ করা হয় না। নির্বাচন কমিশন তথা রাজ্য প্রশাসন ওই ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উদাসীন থাকে। কোথাও যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাওয়া যায় না। অসহায়ভাবে নীরবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়। পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। সরকার, শিক্ষা বিভাগের উদাসীনতা, নিরবতা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষাকে ব্যাহত করে। অবিলম্বে সরকার ও শিক্ষা দপ্তরকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, এই বছরও নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব ও ভাঙুচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার প্রেক্ষিতেই এবার এই দাবিতে সরব হল অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস।