বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতায় খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক গৃহবধূর দগ্ধ দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতার স্বামীকেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিয়ে গিয়ে পুকুরে চুবিয়ে প্রথমে নিজের স্ত্রীকে খুন করে গোলাম আলি শেখ নামে অভিযুক্ত যুবক। এর পর গভীর রাতে পেট্রোল কিনে এনে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে নিজের স্ত্রীর দেহ পুড়িয়ে দেয় সে।
প্রসঙ্গত,গত বুধবার সকালে ফলতার বুদা গ্রামে একটি জ্বলন্ত খড়ের গাদার ভিতর থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছিল যে সেটি শনাক্ত করার উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত গলার রুপোর চেন, পোশাকের না পোড়া অংশ ও জুতো দেখে তরুণীকে শনাক্ত করেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা।
এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুনকুমার দে জানান, তদন্তে নেমে জানা যায়, মৃত ওই গৃহবধূ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনারই বিষ্ণুপুর এলাকায় নিজের বাপের বাড়িতে থাকতেন। বছর পাঁচেক আগে ফলতার বুদা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম আলি শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷ কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে গত প্রায় দেড় বছর ধরে নিজের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন ওই তরুণী।