যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান। আর তা নিয়েই নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। সঙ্গে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি দেওয়াল লিখনে যেমন আজাদ কাশ্মীরের দাবি তোলা হয়, তেমনই একইসঙ্গে মুক্ত প্যালেস্তাইনের দাবিও তোলা হয়েছে। গ্রাফিতির নিচে লেখা অতিবাম সংগঠন পিডিএসএফ-এর নাম। এরপর এই ঘটনায় এবার মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলা রুজুর পাশাপাশি পিডিএসএফের সদস্য কারা, কারাই বা নেতা, তার খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তালিকা তৈরির কাজ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই বিতর্কিত গ্রাফিতির ছবিও তুলে নিয়ে গিয়েছেন যাদবপুর থানার আধিকারিকেরা। অন্যদিকে এদিনই আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবন্ধু সেলের অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ফের তলব করা হয় কিছু পড়ুয়াকে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু পড়ুয়া আগের তলবে সাড়া না দেওয়ায় এদিন ফের তাঁদের ডেকে পাঠায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আজাদ কাশ্মীরের স্লোগান দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। এবার যাদবপুরকাণ্ডের আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সেই আজাদ কাশ্মীর বিতর্ক। সূত্রের খবর, পিডিএসএফের সদস্যদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলে সংগঠনের সদস্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।
এদিকে যাদবপুরকাণ্ডের পর থেকেই চাঁচাছোলা আক্রমণ চালাতে দেখা যায় শুভেন্দু-দিলীপের মতো বিজেপি নেতাদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অ্যান্টি ন্যাশনাল হাব’ বলে তীব্র আক্রমণও করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।